প্রবল বিক্ষোভের মুখে আনন্দবাজার গোষ্ঠীর মারাঠি চ্যানেল এবিপি মাঝা ক্ষমা চাইল সাভারকারকে নিয়ে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে
সাভারকারকে নিয়ে বিতর্কসভা সম্প্রচার করে প্রবল বিক্ষোভের মুখে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হল আনন্দবাজার গোষ্ঠীর মারাঠি নিউজ চ্যানেল এবিপি মাঝা।
দামোদর বিনায়ক সাভারকারের জন্মবার্ষিকীতে এবিপি মাঝা চ্যানেলে সম্প্রতি ‘সাভারকরঃ নায়ক না খলনায়ক’, শীর্ষক এক অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়। সম্প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। সেই অসন্তোষ ক্রমেই বিক্ষোভের চেহারা নেয়। সংগঠনগুলির অভিযোগ, বিতর্ক অনুষ্ঠানে সাভারকারের ব্যক্তি জীবন এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে সাভারকারের অবদান নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করেন কয়েকজন অতিথি। তাতে সাভারকারের মর্যাদাহানি হয়েছে। এই দাবি তুলে বিক্ষোভ চলে। শেষ পর্যন্ত প্রবল চাপের মুখে এই অনুষ্ঠান সম্প্রচারের জন্য ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয় এবিপি মাঝা। চ্যানেলের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ‘এই অনুষ্ঠানে করা মন্তব্যে কারও অনুভূতিতে আঘাত লেগে থাকলে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী’।
তবে প্রশ্ন উঠছে, কোনও বিতর্ক সভায় কোন অতিথি কী মন্তব্য করবেন, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট চ্যানেলকে কেন ক্ষমা চাইতে হবে? বিতর্কে অংশ গ্রহণ করা অতিথিদের মন্তব্যের দায় কেন সংবাদমাধ্যমকে নিতে হবে? উঠছে এই প্রশ্নও।
শুক্রবার opindia নামে একটি নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত প্রতিবেদন জানাচ্ছে, এবিপি মাঝার দীর্ঘদিনের স্পনসর কটন কিং নামে একটি সংস্থাও নাকি এই ঘটনার প্রেক্ষিতে চ্যানেলের সঙ্গে সমস্ত ব্যবসায়ীক লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে। opindia পোর্টালটির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দর্শক এবং স্পনসর, এই দুই চাপেই শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর ২৪ ঘণ্টার মারাঠি নিউজ চ্যানেল এবিপি মাঝা। তবে এই খবরের সত্যতা যাচাই করেনি The Bengal Story। প্রসঙ্গত, এর আগে ফেক নিউজ প্রকাশ করার একাধিক অভিযোগ উঠেছে এই নিউজ পোর্টালটির বিরুদ্ধে।
এর আগে গত বছর কেন্দ্রের শাসক দলের চাপের মুখে পড়ার অভিযোগ উঠেছিল এবিপি নিউজ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। প্রথম মোদী সরকারের সময় এবিপি নিউজ চ্যানেলে মাস্টার স্ট্রোক অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক হয়। প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাতে যে মহিলা নিজের অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধির কথা জানিয়েছিলেন, এবিপি নিউজ চ্যানেলে পূণ্য প্রসূন বাজপেয়ীর মাস্টার স্ট্রোক অনুষ্ঠানে সেই মহিলাই আবার সম্পূর্ণ উল্টো কথা বলেন। মহিলার এই মন্তব্য সম্প্রচারের পরই আলোড়ন পড়ে যায় দেশে। আশ্চর্যজনকভাবে এরপরই এবিপি নিউজের শীর্ষ কর্তা মিলিন্দ খাণ্ডেকর এবং মাস্টার স্ট্রোক অনুষ্ঠানের অ্যাঙ্কর পূণ্য প্রসূন বাজপেয়ী ইস্তফা দেন। ইস্তফা দেন আরও এক সঞ্চালক অভিসার শর্মাও। সেই সময় প্রশ্ন উঠেছিল, কেন্দ্রের চাপেই কি এবিপি নিউজ মিলিন্ড খাণ্ডেকর, পূণ্য প্রসূন বাজপেয়ীকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেছে? যদিও এবিপি নিউজের তরফে কোনও ধরনের সরকারি চাপের কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
এবার সাভারকারকে নিয়ে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে হিন্দুত্ববাদীদের বিক্ষোভের মুখে ক্ষমা চাইল আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর ২৪ ঘণ্টার মারাঠি নিউজ চ্যানেল এবিপি মাঝা।
দামোদর বিনায়ক সাভারকারের জন্মবার্ষিকীতে এবিপি মাঝা চ্যানেলে সম্প্রতি ‘সাভারকরঃ নায়ক না খলনায়ক’, শীর্ষক এক অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়। সম্প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। সেই অসন্তোষ ক্রমেই বিক্ষোভের চেহারা নেয়। সংগঠনগুলির অভিযোগ, বিতর্ক অনুষ্ঠানে সাভারকারের ব্যক্তি জীবন এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে সাভারকারের অবদান নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করেন কয়েকজন অতিথি। তাতে সাভারকারের মর্যাদাহানি হয়েছে। এই দাবি তুলে বিক্ষোভ চলে। শেষ পর্যন্ত প্রবল চাপের মুখে এই অনুষ্ঠান সম্প্রচারের জন্য ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয় এবিপি মাঝা। চ্যানেলের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ‘এই অনুষ্ঠানে করা মন্তব্যে কারও অনুভূতিতে আঘাত লেগে থাকলে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী’।
তবে প্রশ্ন উঠছে, কোনও বিতর্ক সভায় কোন অতিথি কী মন্তব্য করবেন, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট চ্যানেলকে কেন ক্ষমা চাইতে হবে? বিতর্কে অংশ গ্রহণ করা অতিথিদের মন্তব্যের দায় কেন সংবাদমাধ্যমকে নিতে হবে? উঠছে এই প্রশ্নও।
শুক্রবার opindia নামে একটি নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত প্রতিবেদন জানাচ্ছে, এবিপি মাঝার দীর্ঘদিনের স্পনসর কটন কিং নামে একটি সংস্থাও নাকি এই ঘটনার প্রেক্ষিতে চ্যানেলের সঙ্গে সমস্ত ব্যবসায়ীক লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে। opindia পোর্টালটির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দর্শক এবং স্পনসর, এই দুই চাপেই শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর ২৪ ঘণ্টার মারাঠি নিউজ চ্যানেল এবিপি মাঝা। তবে এই খবরের সত্যতা যাচাই করেনি The Bengal Story। প্রসঙ্গত, এর আগে ফেক নিউজ প্রকাশ করার একাধিক অভিযোগ উঠেছে এই নিউজ পোর্টালটির বিরুদ্ধে।
এর আগে গত বছর কেন্দ্রের শাসক দলের চাপের মুখে পড়ার অভিযোগ উঠেছিল এবিপি নিউজ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। প্রথম মোদী সরকারের সময় এবিপি নিউজ চ্যানেলে মাস্টার স্ট্রোক অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক হয়। প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাতে যে মহিলা নিজের অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধির কথা জানিয়েছিলেন, এবিপি নিউজ চ্যানেলে পূণ্য প্রসূন বাজপেয়ীর মাস্টার স্ট্রোক অনুষ্ঠানে সেই মহিলাই আবার সম্পূর্ণ উল্টো কথা বলেন। মহিলার এই মন্তব্য সম্প্রচারের পরই আলোড়ন পড়ে যায় দেশে। আশ্চর্যজনকভাবে এরপরই এবিপি নিউজের শীর্ষ কর্তা মিলিন্দ খাণ্ডেকর এবং মাস্টার স্ট্রোক অনুষ্ঠানের অ্যাঙ্কর পূণ্য প্রসূন বাজপেয়ী ইস্তফা দেন। ইস্তফা দেন আরও এক সঞ্চালক অভিসার শর্মাও। সেই সময় প্রশ্ন উঠেছিল, কেন্দ্রের চাপেই কি এবিপি নিউজ মিলিন্ড খাণ্ডেকর, পূণ্য প্রসূন বাজপেয়ীকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেছে? যদিও এবিপি নিউজের তরফে কোনও ধরনের সরকারি চাপের কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
এবার সাভারকারকে নিয়ে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে হিন্দুত্ববাদীদের বিক্ষোভের মুখে ক্ষমা চাইল আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর ২৪ ঘণ্টার মারাঠি নিউজ চ্যানেল এবিপি মাঝা।
Comments are closed.