এবিপি গোষ্ঠীতে শীঘ্রই ১৫০ কর্মী ছাঁটাই? সর্বভারতীয় নিউজ পোর্টাল www.newslaundry.com এর প্রতিবেদনে প্রকাশ
তৃতীয় পর্যায়ে এবার প্রায় দেড়শো কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছে এবিপি গোষ্ঠী? সর্বভারতীয় নিউজ পোর্টাল www.newslaundry.com এ ১১ ই মার্চ, ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমাসের ৬ তারিখ সংস্থার কলকাতা ও নয়ডার অফিস থেকে মোট ২০ জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে। এবার আরও বেশি সংখ্যক কর্মীকে ‘পিঙ্ক স্লিপ’ ধরানো হতে পারে বলে প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, ১৫০ কর্মীকে ছাঁটাইয়ের জন্য তালিকা তৈরি হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই তা কার্যকর করা হবে।
এবিপি গোষ্ঠীর ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ এর এক নিউজ এডিটরকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘৬ মার্চ আমি ডেস্কে গিয়ে বসতেই একটি মেল পাই। যেখানে লেখা ছিল, আমাকে সংস্থার আর প্রয়োজন নেই, এই মুহূর্তে আমাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।’ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সেই সময় টেলিগ্রাফ অফিসে আরও যাঁরা এই একই মেল পেয়েছেন তাঁদের মানসিক অবস্থার কথাও।
এবিপি’তে যাঁরা অন্তত ১০ বছর কাজ করেছেন তাঁদের এক বছরের বেসিক স্যালারি এবং যাঁরা তার কম সময় কাজ করেছেন তাদের তিন মাসের বেসিক পে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি সংস্থার পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বলে www.newslaundry.com এর প্রতিবেদনে প্রকাশ।
www.newslaundry.com এর প্রতিবেদনে প্রকাশ, আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর কর্মী সংকোচনের এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে। সেই সময় এবিপি গোষ্ঠী প্রায় ৩০০ জনকে ছাঁটাই করেছিল বলে জানাচ্ছে এই প্রতিবেদন। ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের মধ্যে বেশিরভাগই বিভিন্ন জেলার সংবাদদাতা। সংস্থার সম্পাদকীয় শাখার প্রধানদের কাছে ছাঁটাই করার তালিকা চাওয়া হয় বলেও প্রতিবেদনে প্রকাশ। সেই তালিকা খতিয়ে দেখেই এবার প্রায় ১৫০ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে www.newslaundry.com।
এবিপি কর্তৃপক্ষ অবশ্য এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি, বলে প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে। www.newslaundry.com এর প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, তারা এবিপি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিউলি বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানিয়েছেন, ‘ইউনিটগুলির পুনর্গঠন এবং ব্যয় সঙ্কোচের স্বার্থেই সংস্থা কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ তবে ঠিক কত কর্মীকে এই দফায় ছাঁটাই করা হবে ম্যানেজমেন্টের কেউই তার সংখ্যা জানাননি। আগামী দিনে সংস্থার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত সার্কুলেশন ও মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের কর্মীদের ওপরও কোপ পড়ার আশঙ্কার কথা প্রকাশিত হয়েছে www.newslaundry.com এর এই প্রতিবেদনে।
www.newslaundry.com এর প্রতিবেদনে প্রকাশ, আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর নতুন পরিচালন সমিতি, যার মাথায় রয়েছেন অরূপ সরকার এবং অতিদেব সরকার, সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, অভীক সরকারের আমলে হওয়া ক্ষতি ক্রমশ কমিয়ে আনা হবে। এই প্রতিবেদেন লেখা হয়েছে, এবিপি গোষ্ঠীর সিইও দীপঙ্কর দাস পুরকায়স্থ জানিয়েছেন, ‘সংস্থাকে বাঁচাতে, পুনর্গঠন অত্যন্ত জরুরি’।
তবে www.newslaundry.com এর প্রতিবেদনে এবিপি সংস্থার একটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ এবং ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’, যারা নিজেদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে শক্তিশালী করার কথা বলছে, তারাই নিজেদের ডিজিটাল এডিটরদেরও ছাঁটাই করে দিয়েছে।
(এই খবর যাচাই করেনি thebengalstory.com। সর্বভারতীয় নিউজ পোর্টাল www.newslaundry.com এ ১১ ই মার্চ যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তাকেই উদ্ধৃত করে খবর করা হয়েছে। তবে এই খবরের পরিপ্রেক্ষিতে এবিপি সংস্থা কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাইলে আমরা নিশ্চিতভাবেই তা প্রকাশ করব। )
Comments are closed.