অতিমারি কেড়ে নিল ব্রজ রায়কে, করা হল না দেহদান
বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৪০ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
তিনি ছিলেন রাজ্যের মরণোত্তর দেহদানের পথিকৃৎ। কিন্তু করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর পর নিজের দেহই দান করা হল না ব্রজ রায়ের।
বৃহস্পতিবার করোনা সংক্রমিত হয়ে প্রয়াত হলেন ব্রজ রায়। মরণোত্তর দেহ ও অঙ্গদান আন্দোলন প্রবর্তক ব্রজ রায়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৪০ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
একসময় বাম বিপ্লবী ধারার সক্রিয় কর্মী ছিলেন। জেলে বন্দী ছিলেন বেশ কয়েক বছর। মুক্তি পাওয়ার পর মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর এর হয়ে বহুদিন কাজ করেছেন ব্রজ। কিন্তু বাঙালি ব্রজ রায়কে চেনে মরণোত্তর দেহদানের আন্দোলনের পথিকৃৎ হিসেবে। সচেতনতা তৈরি থেকে শুরু করে দেহদান, তাঁর সংস্থা গণদর্পণ আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। মানুষের মধ্যে বেড়েছে দেহদানের প্রবণতা। তাঁর দীর্ঘ কর্মময় জীবনের উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল মরণোত্তর দেহ ও অঙ্গদান নিয়ে আন্দোলন।
নিজে মরণোত্তর দেহদান আন্দোলনের পথিকৃৎ হলেও নিজের দেহ দান করা গেল না ব্রজ রায়ের। করোনা সংক্রমিত দেহ দান করা যায় না।
Comments are closed.