চলতি সপ্তাহেই শুরু হয়েছে অযোধ্যা রাম মন্দির তৈরির কাজ। এরই মধ্যে এবার বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলী মনোহর যোশী এবং ঊমা ভারতী-সহ অন্য অভিযুক্তদের সমন জারি করল সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। তাঁদের বক্তব্য নথিভুক্ত করার জন্য আগামী ৪ জুন হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি এস কে যাদব। ওই দিন থেকে অভিযুক্তদের সওয়াল পর্ব শুরুর জন্য বিবাদি পক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতে ১৯৯২ সালের বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার বিচার চলছে। ফৌজদারি দণ্ডবিধি’র ৩১৩ ধারায় নিজেদের নির্দোষ প্রমাণের জন্য অভিযুক্তদের একটি সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এই ধারা অনুসারে লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলী মনোহর যোশী ও ঊমা ভারতী-সহ মামলার অভিযুক্তদের বয়ান নথিভুক্ত করার জন্য সমন পাঠানো হয়েছে। আগামী ৪ জুন মোট ৩২ জনের বয়ান নথিভুক্ত করা হবে। বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় তদন্তে বেশ কিছু প্রমাণ সংগ্রহ করেছে সিবিআই। এই বিচারপর্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থার সংগৃহীত রিপোর্ট সম্পর্কেও অভিযুক্তদের অবহিত করা হবে।
নিম্ন আদালতে চলা বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার বিচার প্রক্রিয়া ও রায় ঘোষণার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ অগাস্টের মধ্যে এই মামলার বিচার ও রায়দান পর্ব লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতকে শেষ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট এও জানায়, প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিম্ন আদালতে বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার শুনানি চালাতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির তৈরির পক্ষে রায় দেওয়ার পরেই প্রশ্ন উঠেছিল, বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলার রায় কোন দিকে যাবে। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনায় গত ২৮ বছর ধরে মামলা চলছে। শীর্ষ আদালত অযোধ্যার জমিতে রামমন্দির তৈরির পক্ষে রায় দিলেও, বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনাকে ‘আইনের শাসনের গুরুতর লঙ্ঘন’ বলে মন্তব্য করেছিল। মসজিদ ভেঙে আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয় বলেও সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। এখন লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলী মনোহর যোশীর বয়সের কথা বিবেচনা করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁরা আদালতের মুখোমুখি হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে, না কি সশরীরেই আদালতে হাজির থাকতে হবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
Comments are closed.