বর্ষার মরশুমে টানা তিন মাস বন্ধ থাকার পর ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে গেল উত্তরবঙ্গের জঙ্গল। এই নতুন পর্যটন মরশুমের প্রথম দিনই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান ও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ল। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মাদারিহাট, চিলাপাতা, কোদালবস্তি ও শালকুমারে-২ নম্বর গেট সর্বত্রই দেশ-বিদেশের পর্যটকদের ফুলের তোড়া এবং মিষ্টি দিয়ে স্বাগত জানান রেঞ্জের কর্মীরা। বন দফতরের এই অভ্যর্থনায় খুশি পর্যটকরা।
এবার পর্যটন মরশুমে ডুয়ার্সে সাফারির জন্য রয়েছে ন’টি হাতি। একটি হাতি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় সেটিকে ব্যবহার করা হবে না। জলদাপাড়ায় শালকুমার গেট থেকে দু’টি হাতি, গোরুমারার ধূপঝোরায় দু’টি হাতি সাফারির জন্য থাকছে। জলদাপাড়ায় সাফারির পাঁচটি হাতি থাকলেও একটি ছুটিতে আছে। ফলে সেখানে চারটি হাতির পিঠে সাফারি করা যাবে। চিলাপাতায় এনইসি ওয়াচ টাওয়ার থেকে সাফারির জন্য একটি হাতি পাওয়া যাচ্ছে।
হাটি সাফারির পাশাপাশি কার সাফারির রুটও বাড়ানো হয়েছে। জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলে আগে কার সাফারির রুট ছিল ১৫০ কিমি। এবছর কার সাফারিতে আরও ৩২ কিমি রুট বাড়ানো হয়েছে। জলদাপাড়ায় কার সাফারির জন্য ৪৬টি জিপসি ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্যদিকে, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়ায় দু’টি ও জয়ন্তীতে আটটি জিপসিকে কার সাফারির কাজে লাগানো হয়েছে। তবে পর্যটন মরশুমের প্রথম দিন পর্যটক টানার দৌড়ে বক্সাকে টেক্কা দিয়েছে জলদাপাড়া। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও জানান, প্রথম দিনেই পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। পুজো যত কাছে আসবে এই ভিড় তত বাড়বে।
Comments are closed.