ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন কাণ্ডে ঘুম ছুটছে পুলিশ প্রশাসনের। খাস কলকাতায় এধরনের প্ৰতারণা দেখে চক্ষু ছানাবড়া আমজনতার। আর এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পুলিশের জালে আরেক ভুয়ো সরকারি আধিকারিক! নিজেকে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে নীলবাতির গাড়িতে ঘুরে বেড়াত বলে জানাচ্ছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে বেনিয়াপুকুর অঞ্চলে নাকা তল্লাশি চালাচ্ছিল ট্রাফিক পুলিশ। সেই সময় একটি নীলবাতি লাগানো গাড়ির গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় পুলিশ কর্মীদের। গাড়ি দাঁড় করানো হয়। গাড়িতে ভিআইপি স্টিকার লাগানো ছিল। ভিজিল্যান্সের বোর্ডও ছিল।
গাড়ির ভিতরে থাকা যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করায় পুলিশ কর্মীদের সন্দেহ হয়। যুবক প্রথমে নিজেকে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দেয়। জেরায় কিছুক্ষণের মধ্যেই বয়ান বদল করে নিজেকে নারকোটিক সেলের একজন আধিকারিক বলেন। সরকারি আধিকারিক হিসেবে কোনওরকম পরিচয়পত্র দেখতে পারেনি বলে জানা গেছে। বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ যুবককে গ্রেফতার করে। গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে ওই যুবকের নাম আসিফুল হক। পার্কস্ট্রিট অঞ্চলেই ধৃতের বাড়ি।
দেবাঞ্জন কাণ্ডের পরে এ ধরনের ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পুলিশ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ভুয়ো পরিচয় কেন ব্যবহার করত? ভিজিল্যান্স অফিসার পরিচয় দিয়ে সে দেবাঞ্জনের মত কোনও প্ৰতারণার সঙ্গে জড়িত কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
সম্প্রতি ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে কসবা থেকে দেবাঞ্জন দেব নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিজেকে আইএএস অফিসার পরিচয় দিতেন দেবাঞ্জন। কসবা কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরই তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনার জেরে শাসক বিরোধী দ্বন্দ্ব চরমে। কসবাকাণ্ডে এখনও পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোয়েন্দা বিভাগের বিশেষ তদন্তকারী দল অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তার মধ্যেই পুলিশের জালে ভুয়ো কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসার বলে নিজের পরিচয় দেওয়া যুবক।
Comments are closed.