সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এবং চার মতুয়া সম্প্রদায়ের বিজেপি বিধায়কের WhatsApp গ্রুপ ছাড়া নিয়ে নানান জল্পনা দেখা দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এই আবহে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। বলাই বাহুল্য এই বৈঠকের দিকে নজর ছিল রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের। আর বৈঠক শেষে মতুয়া বিধায়করা বেশ কিছু দাবি জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির কাছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে যার জেরে কার্যত চাপ বাড়ল রাজ্য বিজেপির।
মঙ্গলবার বৈঠক শেষে রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি বেশ কিছু দাবিদাওয়া জানান। তিনি বলেন, মতুয়া সম্প্রদায়ের একজন প্রতিনিধিকে রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি পদ দিতে হবে। সেই সঙ্গে রাজ্য বিজেপির এসসি মোর্চার বিভিন্ন পদে কাদের রাখা হবে, তা নিয়ে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে। এছাড়াও বনগাঁ এবং নদীয়া দক্ষিণের জেলা সভাপতির পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন। সেই সঙ্গে নবদ্বীপ জোনের পর্যবেক্ষকের পরিবর্তন চেয়েছেন।
উল্লেখ, রাজ্য বিজেপির নতুন কমিটিতে মতুয়া সম্প্রদায়কে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়নি এই অভিযোগে বড়দিনের দিন দলের WhatsApp গ্রুপ ছাড়েন, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী এবং কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়। যার জেরে তাঁদের ভবিষ্যত গন্তব্য নিয়ে তুমুল জল্পনা শুরু হয়। আর বিধায়কদের নিয়ে চর্চার মাঝেই জল্পনা বাড়িয়ে দলের সমস্ত whatsapp গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। আর তারপরেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিধায়কের নিয়ে বৈঠকে বসেন শান্তনু।
Comments are closed.