শুক্রবার তৃণমূলে যোগ দিয়েই সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির সদ্য প্রাক্তন সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় বলেছিলেন, বিজেপি পার্টিটাতে আর কেউ থাকবে না। আর তাঁর মন্তব্যের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বেসুরো নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক বিজেপি নেতা সুনীল সিংহ।
বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ-এর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় সুনীল সিংহ মুকুলের দলত্যাগ প্রসঙ্গে বললেন, উনি বড় মাপের নেতা। মুকুল রায়ের দলত্যাগে বিজেপির বড় ক্ষতি হল।
সেই সঙ্গে দল বদলের সম্ভবনা জিইয়ে রেখে বিজেপি নেতার মন্তব্য, মুকুল রায়ের হাত ধরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলাম। ভবিষৎ-এ কী হবে তা সময় বলবে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, মুকুল রায়ের প্রত্যাবর্তনে রাজ্য বিজেপিতে ভাঙন এক প্রকার নিশ্চিত। তৃণমূল নেত্রীও বলছেন, ‘নরমপন্থী’দের ঘরওয়াওসি নিয়ে দল আলোচনা করছে। আর এসবের মধ্যেই সাংসদ অর্জুন সিংহের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়র এহেন মন্তব্য উদ্বেগ বাড়িয়েছে রাজ্য বিজেপির।
উল্লেখ্য একুশের ভোটের দোরগোড়ায় বিধানসভায় মমতা ব্যানার্জির ঘরে গিয়ে দেখা করেছিলেন সুনীল সিংহ। দল বদলের মরশুমে সেই সময় সুনীলের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। যদিও তখন বিজেপিতেই থেকে গিয়েছিলেন সুনীল।
এছাড়াও মুকুল রায়ের ফুল বদলের সঙ্গে সঙ্গেই বনগাঁ জেলার বিজেপি সহ সভাপতি পদত্যাগ করেছেন।
একুশের ফলাফলের পরেই ফের আর একবার দলবদলের হিড়িক দেখতে চলেছে রাজ্যবাসী। যদিও এবারে অভিমুখটা উল্টো। এমনটাই মত রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশের।
Comments are closed.