তিন দশকের বেশি সময় পর, এই প্রথম অধিকারীর পরিবারের কেউ থাকছেন না কাঁথি পুরসভা ভোটে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।
অধিকারীর পরিবারের কর্তা শিশির অধিকারী থেকে শুরু করে বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, প্রত্যেকের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা কার্যত কাঁথি পুরসভা থেকে।
১৯৬৯ সালে পুরসভার কমিশনার হিসেবে কাঁথি পুরসভার দায়িত্ব নেন শিশির অধিকারী। ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন তিনি। মাঝে পাঁচ বছরের বিরতি। পরে ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌম্যেন্দু অধিকারী। পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। কাঁথি পুরসভা কার্যত অধিকারী গড় বলেই পরিচিত। এই পরিস্থিতিতে অধিকারী পরিবারের কেউ কাঁথি পুরসভায় না থাকায় রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সক্রিয় ভাবেই বিজেপিতে রয়েছেন সৌম্যেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি মনে করা হয়েছিল কাঁথির ২১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাঁকে প্রার্থী করবে বিজেপি। যদিও তা হয়নি। এই প্রসঙ্গে বিজেপির পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা নেতৃত্বের দাবি, সৌম্যেন্দু অধিকারীকে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক করা হয়েছে। এই পুর নির্বাচনে ওঁর দায়িত্ব অনেক বেশি।
যদিও তৃণমূল এ প্রসঙ্গে গেরুয়া শিবিরকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি। পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিজেপি জানে অধিকারী পরিবারের কেউ জিতবে না, তাই টিকিট দেয়নি।
Comments are closed.