ফের রাজ্যপালের সঙ্গে বিধানসভার স্পিকারের সংঘাত শুরু হতে পারে। বিধানসভা সূত্রে খবর, সম্প্রতি রাজভবনে থেকে একটি চিঠি এসেছে, যাকে কেন্দ্র করে এমনটাই আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূলের দাবি ভবানীপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর জয় এক প্রকার নিশ্চিত। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদেরও বেশিরভাগেরই তাই মত। ফলত রবিবার ফলাফল ঘোষণার পর আগামী সপ্তাহে মহালয়ার আগেই মমতা ব্যানার্জি শপথ নিতে পারেন। সেই সঙ্গে সামসেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরের দুই বিজয়ী প্রার্থীও বিধায়ক পদে শপথ নেবেন।
এই আবহে রাজভবনে থেকে সম্প্রতি স্পিকারকে বার্তা পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, এবার থেকে রাজ্যের নতুন বিধায়কদের শপথ বাক্য রাজ্যপালই পাঠ করাবেন। সংবিধানের ১৮৮ ধারা উল্লেখ্য করে বলা হয়েছে এতদিন রাজ্যপাল শপথ বাক্য পাঠ করানোর যে অধিকার স্পিকারকে দিয়েছিলেন, এবার তিনি তা প্রত্যাহার করলেন।
উল্লেখ্য রীতি অনুযায়ী লোকসভা বা বিধানসভার নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের শপথ বাক্য পড়ানোর দায়িত্ব রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালের। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি তাঁর মনোনীত কোনও ব্যক্তিকে সেই দায়িত্ব দিয়ে থাকেন। লোকসভার ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি লোকসভার স্পিকার, বিধাসভার ক্ষেত্রে বিধানসভার অধ্যক্ষ। জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড় এবার সেই অধিকার প্রত্যাহার করতে চলেছেন। আর যার জেরেই ফের একবার অধ্যক্ষ বিমান ব্যানার্জির সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
Comments are closed.