অজিত পাওয়ার পিছন থেকে ছুরি মারলেন, বলছে ক্ষুব্ধ শিবসেনা, অজিতকে পরিষদীয় নেতার পদ থেকে সরাল এনসিপি, জোরাল বহিষ্কারের দাবি

বিজেপির সঙ্গে সরকার গড়ে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরেই এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার পরিষদীয় দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দিলেন শরদ পাওয়ার। দলের অন্দরে তাঁকে বহিষ্কার করার জোরালো দাবি উঠেছে। শরদ পাওয়ার জানান, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। তবে ভাইপো অজিতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেই।
সকালে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরেও অজিতকে নিয়ে জলঘোলা হচ্ছেই। দুপুরে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে ও এনসিপি স্ট্রংম্যান শরদ পাওয়ার বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ করেন। দু’জনেই বলেন, অজিত বিজেপির হাতে খেলতে গিয়ে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করলেন। মহারাষ্ট্রবাসী তাঁকে ক্ষমা করবে না। উদ্ধব বলেন, এটাই বিজেপির খেলার ধরন। তবে এতে লাভ হবে না। শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটই সরকার গড়বে। উদ্ধবের কথায় সায় দেন শরদও। এরইমধ্যে আবার শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত দাবি করেন, খুব শীঘ্রই অজিত পাওয়ার এনসিপি-তে ফিরে আসবেন। তাঁর আরও দাবি, এনসিপির কয়েকজন বিধায়ক ইতিমধ্যেই ফিরে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন জানিয়েছেন, বিজেপি নেতারা এবং অজিত পাওয়ার তাঁদের ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করেন। এর কিছু পরেই এনসিপি প্রবীণ নেতা নবাব মালিক অজিতের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেন। তাঁর অভিযোগ , দলীয় বৈঠকে উপস্থিত থাকার ব্যাপারে জনা কয়েক এনসিপি বিধায়কের সই সংগ্রহ করেন অজিত। পরে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি সেই সইগুলি দেখিয়ে সমর্থনের প্রমাণ দাবি করেন অজিত পাওয়ার। ওই বিধায়করা তাঁকে তেমনটাই জানিয়েছেন বলে দাবি মালিকের। এদিকে শিবসেনার রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, যে ব্যক্তি শুক্রবার রাত ন’টাতেও তিন দলের মিটিংয়ে তিন দলের মিটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন, তিনিই মাঝরাতে কী করে পাল্টি খেলেন বুঝতে পারছি না। অবশ্য ওই মিটিংয়ে অজিতের শরীরী ভাষা আমার একেবারেই ভালো লাগেনি। উনি আমাদের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারছিলেন না। রাতের দিকে তাঁকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। মনে হয় তখন থেকেই খেলা শুরু হয়ে গিয়েছিল।

Comments are closed.