শহরের ইতিহাসপ্রেমীদের জন্য সুখবর। পুজোর আগেই শহর পাচ্ছে একটি নতুন মিউজিয়াম। রাজ্যের দাবি, দেশে এধরণের মিউজিয়াম এই প্রথম। আগামীকালই অর্থাৎ বুধবার জনসাধারণের জন্য খুলে যাচ্ছে আলিপুর জেল ইন্ডিপেনডেন্স মিউজিয়ামের দরজা।
আলিপুর জেলকেই মিউজিয়াম হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। গত ১৫ আগস্ট রাজ্যের নগরায়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মুখ্যমন্ত্রীকে নব নির্মিত মিউজিয়ামের কাজ ঘুরিয়ে দেখান। তখনই তিনি জনিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই সাধারণের জন্য মিউজিয়ানের দরজা খুলে দেওয়া হবে। সেই মতো পুজোর আগেই মিউজিয়াম খুলে যাচ্ছে।
১৯০৬ সালে তৈরি হওয়া এই লালবাড়িটি অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র থেকে শুরু করে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন এই জেলের বিভিন্ন কক্ষে বন্দি ছিলেন। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু থেকে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ও স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিয়ে ব্রিটিশদের হাতে বন্দি হয়ে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলেই বন্দি ছিলেন। এই আলিপুর জেলেই ফাঁসির কাঠে মৃত্যুবরণ করেন বিপ্লবী দীনেশ মজুমদার সহ আরও অনেকে।
বেশ কয়েক বছর ধরেই অলিপুর জেল থেকে বন্দিদের সরিয়ে বারুইপুর জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বদলে আলিপুর জেলটিকে ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য স্থানের রূপ দেওয়া শুরু করে রাজ্য সরকার। সেই মতোই ঐতিহাসিক স্থাপত্যকে অক্ষুন্ন রেখে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ব্যবহৃত কুঠিকে হেরিটেজ সাইট হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে। যা এবার সাধারণ মানুষ গিয়ে দেখতে পারবেন।
Comments are closed.