কমপ্লিট লকডাউনই একমাত্র পথ, যোগী রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

উত্তরপ্রদেশের করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ শোচনীয় হয়ে উঠছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষণ নেই, উল্টে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে মৃত্যু হার। এবার যোগীরাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্ট জানায়, রাজ্যের যেসব এলাকায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে সেখানে সম্পূর্ণ লকডাউন করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।

উত্তরপ্রদেশের কোয়ারেন্টিন সেন্টারের অবস্থা ও করোনা চিকিৎসা সম্পর্কিত একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে যোগী সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বিচারপতি সিদ্ধার্থ ভার্মা ও বিচারপতি অজিত কুমারের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে উত্তরপ্রদেশ সরকার ও প্রশাসন পুরোপুরি ব্যর্থ। সামাজিক দূরত্ব বিধি বা জমায়েত এড়ানোর মত নির্দেশের যথাযথ পালন হচ্ছে না। ফলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে সম্পূর্ণ লকডাউন ছাড়া আর কোনও বিকল্প দেখতে পাচ্ছে না এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

লখনউ, কানপুর, নাগপুর, প্র‍য়াগরাজ, বারাণসী, গোরখপুর ইত্যাদি অঞ্চলে যেভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। যোগী সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে আদালত বলে, ‘এটা ঠিক যে সরকারের সদিচ্ছার অভাব নেই। তার সঙ্গে এটাও ঠিক যে যতটা পদক্ষেপ করা দরকার সেটা হয়নি। সংক্রমণ রুখতে আরও কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন’।

একই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে, করোনা রুখতে তারা এবার কী কী পদক্ষেপ নেবে সেগুলি যেন আদালতকে নিয়মিত জানানো হয়। আদালত বলে, মানুষের জন্যই আইন তৈরি হয়। যদি লকডাউনে মানুষকে ঘরবন্দি করে সংক্রমণ ঠেকানো যায়, তাহলে সেটাই করা হোক। এলাহাবাদ হাইকোর্ট এও বলে রুজি-রুটি ও জীবনের মধ্যে ব্যালান্স রাখতে আগে জীবন রক্ষার কথা ভাবতে হয়। বাঁচার জন্য খাবার, উল্টোটা নয়। আদালত আরও বলে, আমরা বিশ্বাস করি না লকডাউনের ফলে রাতারাতি জনজীবন এমন স্তব্ধ হয়ে যাবে যে উত্তরপ্রদেশের মানুষ খিদের জ্বালায় মরে যাবেন। যোগী সরকারকে লকডাউন জারির পক্ষে জোর দিয়ে সেই সুযোগে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও মজবুত করার নির্দেশ দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

Comments are closed.