২০২৬ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রথম ট্রিলিওনিয়ার হতে চলেছেন অ্যামাজন মালিক জেফ বেজোস। আর ভারতীয় শিল্পপতি মুকেশ আম্বানীর ট্রিলিওনিয়ার হতে লাগতে পারে ২০৩৩ সাল।
সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদের জেরে স্ত্রীকে বেজোসকে খোরপোষ হিসেবে দিতে হয়েছে প্রায় ৩৮ বিলিয়ন ডলার। যদিও তাতে সম্পত্তির অভাব হচ্ছে না অ্যামাজন সিইও জেফ বেজোসের। একটি রিপোর্ট বলছে, বর্তমান হারে সম্পত্তি বাড়তে থাকলে ২০২৬ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রথম ট্রিলিওনিয়ার বা আনুমানিক ৭৫ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকার মালিক হতে চলেছেন অ্যামাজন সংস্থার কর্ণধার।
বিশ্ববিখ্যাত সংস্থা Comparisun, যারা বিভিন্ন সংস্থার পণ্যের তুল্যমূল্য বিচার করে, তাদের সাম্পতিক সমীক্ষা বলছে, ২০২৬ সালের মধ্যে একাই ১ লক্ষ কোটি ডলারের মালিক হতে পারেন জেফ বেজোস!
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বেজোসের বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ১৪৪ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১০ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকা। Comparisun-এর সমীক্ষা বলছে, গত পাঁচ বছরে গড়ে জেফ বেজোসের সম্পত্তি প্রায় ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই হারে সম্পত্তি বাড়তে থাকলে ২০২৬ সালের মধ্যে ৬২ বছর বয়সে বেজোস হয়ে যাবেন বিশ্বের প্রথম ট্রিলিওনিয়ার। বেজসের পরে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সম্পদের মালিক মাইক্রোসফট কর্ণধার বিল গেটসের পক্ষে আর এই মাইলস্টোন ছোঁয়া সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছে এই সমীক্ষা।
ট্রিলিওনিয়ার হওয়ার এই দৌড়ে রয়েছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক মুকেশ আম্বানী। তাঁর বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ৫২.৪ বিলিয়ন বা প্রায় ৩ লক্ষ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। তবে যে হারে মুকেশের সম্পদ বাড়ছে তা বজায় থাকলে ২০৩৩ সালে, ৭৫ বছর বয়সে তাঁর ট্রিলিওনিয়ার হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এই সমীক্ষা অনুযায়ী, জেফ বেজোসের চেয়ে অনেক কম বয়সে ট্রিলিওনিয়ার হতে পারেন ফেসবুক কর্ণধার মার্ক জুকেরবার্গ। ২০৩৬ সালের মধ্যে ৫১ বছর বয়সে প্রায় ৭৫ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকার মালিক হতে পারেন তিনি। এই সম্ভাব্য ট্রিলিওনিয়ারের লিস্টে রয়েছেন চিনা সংস্থা আলিবাবার কর্ণধার জ্যাক মা। তবে ট্রিলিওনিয়ার হতে জ্যাক মা-র লাগতে পারে ২০৩০ সাল। তখন তাঁর বয়স হবে ৬৫ বছর। এছাড়া এই সম্ভাবনার তালিকায় আছেন মাইক্রোসফটের প্রাক্তন সিইও স্টিভ বলমার, ডেল-এর কর্ণধার মাইকেল ডেল, গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সার্গেই ব্রিন প্রমুখ। তবে ২০৪০ সালের আগে তাঁদের কারও পক্ষেই ট্রিলিওনিয়ার মুকুট পাওয়া সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সমীক্ষা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু নেটিজেন এই রিপোর্ট তুলে ধরে সমালোচনা করছেন বেজোসদের। তাঁদের মত, যেখানে অতিমারি করোনার দাপটে সারা বিশ্ব ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে মুষ্টিমেয় কয়েকজন ব্যক্তির হাতেই ন্যস্ত আছে বিশ্বের অধিকাংশ সম্পদ। এর ফলেই বিনষ্ট হচ্ছে অর্থনৈতিক সাম্য।
Comments are closed.