শুক্রবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সাত মাস আগে রাজ্যপাল হয়ে আসার পর এই প্রথম তাঁর সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক হতে চলেছে। সামনেই পুরভোট। সেই ভোট মিটতে না মিটতেই রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে যাবে। পুরভোটের প্রাক্কালে দিন কয়েক আগে রাজ্যপাল ধনখড় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে ডেকে পুরভোটের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি তাঁকে সতর্ক করে দেন, এই পুরভোটে যেন গত পঞ্চায়েত ভোটের পুনরাবৃত্তি না হয়। কমিশনারকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, ভারতের নির্বাচন কমিশনের মতো রাজ্য নির্বাচন কমিশনেরও প্রচুর ক্ষমতা রয়েছে। ভোট আবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য প্রয়োজনে কমিশনারকে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে বলেও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি রাজ্যপাল আবার ট্যুইট করে জানিয়েছেন, আগামী বিধানসভা ভোটকেও হিংসামুক্ত রাখতে হবে। তার জবাব দিয়ে রাজ্যের প্রভাবশালী মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, রাজ্যপালের জানা উচিত, বিধানসভা বা লোকসভা ভোট পরিচালনা করে ভারতের নির্বাচন কমিশন। রাজ্যপালের তা নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে। হাকিমের এই বক্তব্যেরও পালটা জবাব দিয়ে রাজ্যপাল বলেন, উনি দেশের সংবিধান জানেন না। তিনি একই সঙ্গে রাজ্যপালের পদ এবং সংবিধানকে অসম্মান করেছেন। এক কথায়, ধনখড় রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরোধ লেগেই রয়েছে।
এই আবহে শুক্রবার অমিত-ধনখড় বৈঠক ঘিরে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজভবন সূত্রের খবর, গত সাত মাসে কাজ করতে গিয়ে তিনি যে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, তার বিস্তারিত রিপোর্ট দেবেন রাজ্যপাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। কোন পরিস্থিতিতে তিনি রাজ্যের নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাও জানাবেন ধনখড়।
এর আগে রাজ্যের শাসকদল রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিধানসভার বাইরে, লোকসভার ভিতরে এবং বাইরে। অনেকবার তৃণমূল তাঁর অপসারণ দাবি করেছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী নিজে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পর্যন্ত দিয়েছেন। মোদী সেই চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। রাজ্যপাল অবশ্য খোলাখুলিই বলেছেন, আমি সংবিধান মেনে কাজ করছি এবং করে যাব। আমার বিরুদ্ধে যদি কেন্দ্রের কাছে কেউ নালিশ করেন, তাতেও আমার কিছু যায় আসে না।
রাজনৈতিক মহলের মতে, আসলে পুরভোটের আগে রাজ্য সরকারকে চাপে রাখার জন্যই রাজ্যপাল এতটা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তিনি পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারের কথাও বলেছেন। তারই মধ্যে রাজ্য বিজেপির নেতারা বলতে শুরু করেছেন, মেরুদণ্ডহীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে অবাধ পুরভোট সম্ভব নয়। একই মত সিপিএম, কংগ্রেস এবং অন্য বিরোধী দলগুলিরও। রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনারকে আরও জানিয়ে দিয়েছেন, সব রাজনৈতিক দলকে যেন সমান চোখে দেখা হয়। পুলিশ অফিসার এবং আমলারা যদি সংবিধান না মেনে চলার চেষ্টা করেন, তা হলে তাঁদের গুরুতর পরিণামের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। রাজ্য সরকার অবশ্য রাজ্যপালের এই সব কথাবার্তাকে এক ধরনের হুমকি বলেই মনে করছে। এই অবস্থায় শুক্রবারের দিল্লি-বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যপালের পাশেই থাকবেন না কি তাঁকে সংযত হতে বলবেন, সেটা নিয়ে কৌতূহল থাকছে রাজনৈতিক মহলের।
এই আবহে শুক্রবার অমিত-ধনখড় বৈঠক ঘিরে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজভবন সূত্রের খবর, গত সাত মাসে কাজ করতে গিয়ে তিনি যে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, তার বিস্তারিত রিপোর্ট দেবেন রাজ্যপাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। কোন পরিস্থিতিতে তিনি রাজ্যের নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাও জানাবেন ধনখড়।
এর আগে রাজ্যের শাসকদল রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিধানসভার বাইরে, লোকসভার ভিতরে এবং বাইরে। অনেকবার তৃণমূল তাঁর অপসারণ দাবি করেছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী নিজে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পর্যন্ত দিয়েছেন। মোদী সেই চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। রাজ্যপাল অবশ্য খোলাখুলিই বলেছেন, আমি সংবিধান মেনে কাজ করছি এবং করে যাব। আমার বিরুদ্ধে যদি কেন্দ্রের কাছে কেউ নালিশ করেন, তাতেও আমার কিছু যায় আসে না।
রাজনৈতিক মহলের মতে, আসলে পুরভোটের আগে রাজ্য সরকারকে চাপে রাখার জন্যই রাজ্যপাল এতটা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তিনি পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারের কথাও বলেছেন। তারই মধ্যে রাজ্য বিজেপির নেতারা বলতে শুরু করেছেন, মেরুদণ্ডহীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে অবাধ পুরভোট সম্ভব নয়। একই মত সিপিএম, কংগ্রেস এবং অন্য বিরোধী দলগুলিরও। রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনারকে আরও জানিয়ে দিয়েছেন, সব রাজনৈতিক দলকে যেন সমান চোখে দেখা হয়। পুলিশ অফিসার এবং আমলারা যদি সংবিধান না মেনে চলার চেষ্টা করেন, তা হলে তাঁদের গুরুতর পরিণামের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। রাজ্য সরকার অবশ্য রাজ্যপালের এই সব কথাবার্তাকে এক ধরনের হুমকি বলেই মনে করছে। এই অবস্থায় শুক্রবারের দিল্লি-বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যপালের পাশেই থাকবেন না কি তাঁকে সংযত হতে বলবেন, সেটা নিয়ে কৌতূহল থাকছে রাজনৈতিক মহলের।
Comments are closed.