কোনোভাবেই পারছিলেন না কুৎসিত বিতর্ক থেকে বেরোতে, পুত্রবধূর সম্মান বাঁচাতে শেষমেষ এগিয়ে আসলেন অমিতাভ বচ্চন

এক সময়ে বি টাউনের প্রথম সারির অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। তবে এখনো তাকে টেক্কা দিতে পারে এমন অভিনেত্রী বলিউডের খুব কমই আছে। তিনি আর কেউ নন বচ্চন বধূ ঐশ্বর্য রাই বাচ্চান। সব সময় লাইভ লাইটের কেন্দ্রে রয়েছেন এই বিশ্ব সুন্দরী। তবে অন্যান্য বি-টাউনের অভিনেত্রীদের মতন বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন তিনিও। এমনকি তাঁকে নিয়ে করা হয়েছিল অশ্লীল মন্তব্য। কোনভাবেই বের হতে পারছিলেন না সেই বিতর্ক থেকে। শেষমেষ শ্বশুরমশাইয়ের এসে বাঁচালেন পুত্রবধূকে।

বেশ কয়েক বছর আগে একটি ছবি নিয়ে পাপারাজ্জির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন ঐশ্বর্য রায় বচ্চন। আজও শেষ হয়নি বিতর্ক। 2011 সালে পরিচালক মধুর ভান্ডারের একটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ঐশ্বর্য। সেই ছবির শুটিং চলাকালীন অন্তঃসত্ত্বা হন অ্যাশ। তবে পরিচালকের থেকে সেই কথা গোপন করেন অভিনেত্রী। টানা ৬৫ দিন শুটিং করার পর তাঁর গর্ভাবস্থার কথা জানতে পারেন পরিচালক। তারপরই ঐশ্বর্যকে বাদ দিয়ে ছবিতে কারিনা কাপুরকে নিয়ে নেন তিনি। এই ছবির কারণেই বিশাল ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন পরিচালক মধুর ভান্ডারকর। আর সেই রাগেই ঐশ্বর্যর বিরুদ্ধে একাধিক বাজে মন্তব্য করেছিলেন মধুর ভান্ডারকর।

এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক জানিয়েছিলেন, অ্যাস তাঁর থেকে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর লুকিয়ে রেখেছিলেন। ৬৫ দিন শুটিং করার পর তিনি জানতে পারেন সেই খবর। এরপরেই বিতর্কের মুখে পড়েন বিশ্ব সুন্দরী। হাজার চেষ্টা করেও সেই বিতর্ক থেকে বেরোনোর পথ খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। শেষে পুত্রবধূর সম্মান রক্ষা করতে অমিতাভ বচ্চন এগিয়ে আসেন। তিনি বলেন, ছবির কন্ট্রাক্টের সময় ঐশ্বর্য যে বিবাহিত সেটা জানতেন পরিচালক। তাহলে কি অভিনেতাদের বিয়ে করা উচিত নয়? তাদের কি সন্তান হওয়া উচিত নয়? পুত্রবধূর পক্ষে দাঁড়িয়ে মধুরের অভিযোগের যোগ্য জবাব দিয়েছিলেন তিনি।

Comments are closed.