মেয়ে একটি বাইকে, সামনের বাইকে তিনি। আর পিছন পিছন কমিশনের দল। তিনি বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল চলেছেন ভোট দিতে। নির্বিঘ্নেই মিটেছে কেষ্টর ভোট পর্ব।
ভোট শুরুর পর বাড়িতে বসেই খোঁজখবর নিয়েছেন। ঘণ্টা পাঁচেক পর বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। বাইকে চেপে ভোট দিতে যান কমিশনের নজরবন্দী অনুব্রত মণ্ডল। সঙ্গে ছিল নিজের মেয়ে। জানা গিয়েছে, ভোটের পর পার্টি অফিসে বসেই অন্যান্যবারের মতোই ভোট পরিচালনা করেছেন কেষ্ট দা।
বীরভূমে ভোটের দিন অনুব্রত মণ্ডলের আগুপিছু মোতায়েন ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। হাজির ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদার একজন অফিসার। সেই সঙ্গে অগুন্তি সংবাদমাধ্যম। সব কিছু সামলে কেষ্ট দা ভোট করালেন চেনা ঢঙেই।
[আরও পড়ুন- অষ্টম দফায় ভোট বীরভূমে, ১৬ আর ১৯-এর ফল কী ছিল?]
নির্বাচন কমিশন ২৭ এপ্রিল বিকেল ৫টা থেকে শুক্রবার অর্থাৎ অষ্টম দফার ভোটের পর দিন সকাল ৭টা পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। বীরভূমের জেলা সভাপতির বাড়িতে ম্যাজিস্ট্রেট পদের আধিকারিকরা রয়েছেন। ২৭ এপ্রিল থেকে কড়া নজরদারির মধ্যেই ছিলেন কেষ্ট দা।
কিন্তু এত সব কিছু পেরিয়েও বুধবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজর এড়িয়ে অনেকটা সময়ের জন্য উধাও হয়ে যান অনুব্রত মণ্ডল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সামনে দিয়েই ধুলো উড়িয়ে বেরিয়ে যায় অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি। তারপরই তাঁকে হারিয়ে ফেলেন জওয়ানরা। শুরু হয় গরু খোঁজা। শেষ পর্যন্ত জানা যায় অনুব্রত মণ্ডল এইমাত্র তারাপীঠ মন্দিরে পূজো দিতে ঢুকলেন। ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে বাহিনী ছোটে তারাপীঠ। পরে অনুব্রত মণ্ডল নিজে জানিয়েছেন, কমিশন আমাকে খুঁজে না পেলে আমি কী করব? বুধবারের পুনরাবৃত্তি যাতে ভোটের দিনও না হয় তা নিশ্চিত করতে তৎপর প্রশাসন।
এদিকে ভোট দিয়ে বেরিয়ে বীরভূমে তৃণমূলের সভাপতি বলেন, আমি চাই বীরভূমে যেন শান্তিপূর্ণ ভোট হয়। তারপর অনুব্রত ফেরেন ওয়ার রুমে।
Comments are closed.