সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদী সরকারের সমালোচনা করে এসেছেন এসেছেন চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা অপর্ণা সেন।জেএনইউ হামলা থেকে সিএএ ও এনআরসি, যে কোনও ইস্যুতে প্রশ্ন তুলেছেন, প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেই অপর্ণাই আবেদন করলেন, ‘দয়া করে এ দেশে কোনও কিছুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবেন না!’ কেন এমন কথা বললেন অপর্ণা সেন? তার উত্তরও ট্যুইটেই দিয়েছেন বর্ষীয়ান শিল্পী। জানিয়েছেন, যদি দেশের কোনও ইস্যু নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করেন তাহলে আপনি হয় ‘দেশবিরোধী’, ‘আর্বান নকশাল’,’পাকিস্তানপন্থী’, ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’, ‘সন্ত্রাসবাদী’ বা ‘খালিস্তানী’ হিসেবে চিহ্নিত হবেন। চশমা, সিপার ছাড়া থাকতে হবে কারাগারে। অতএব সাবধান!
কেন এই ট্যুইট?
দীর্ঘদিন কোনও রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করেননি অপর্ণা। এবার দেশব্যাপী কৃষক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে চিত্র পরিচালকের ট্যুইট বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া কৃষক আন্দোলনের পিছনে ‘খালিস্তানী এজেন্ডা’ আছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। এমনকী পাক যোগের অভিযোগ করেছেন কোনও কোনও বিজেপি নেতা! অপর্ণা তাঁর ট্যুইটে সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন।
ট্যুইটে ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় অভিযুক্ত জেলবন্দি সমাজকর্মী ফাদার স্ট্যান স্বামীর কথারও ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। যে অশীতিপর ও অসুস্থ বৃদ্ধ সমাজকর্মী জেলের ভিতর জল পানের জন্য সিপারের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু এইটুকু আবেদনেও কর্ণপাত করেনি এনআইএ।
এই প্রেক্ষিতেই অপর্ণা সেনের আবেদন এ দেশে কোনও কিছুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করাই ভালো। না হলে স্বামীর মতোই জেলে যেতে হবে, যেখানে চশমা, সিপারও মিলবে না।
দেশজুড়ে অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়ে অপর্ণা সেন সহ একাধিক বিশষ্টজনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের হয়েছিল।
Comments are closed.