কোকেন সহ গ্রেফতার বিজেপি যুব নেত্রী পামেলা গোস্বামী, গ্রেফতার আরেক বিজেপি নেতা
গ্রেফতারের সময় তাঁদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী
লক্ষাধিক টাকার মাদক সহ বিজেপি যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক পামেলা গোস্বামীকে নিউ আলিপুর থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ তাঁর এক সঙ্গী তথা বিজেপি নেতা প্রবীরকুমার দেকেও গ্রেফতার করেছে।
ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০০ গ্রাম কোকেন। যার বাজারমূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পামেলার অপেক্ষায় ছিল পুলিশ। গাড়ি নিয়ে নিউ আলিপুর এলাকার একটি কফি শপের সামনে দাঁড়ান পামেলা ও প্রবীর। একটি বাইক থেকে নেমে কিছু লেনদেন হয়। তারপর ফের চলতে শুরু করে গাড়ি। সেইসময় গাড়ি থামায় পুলিশ। ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা। পামেলার হ্যান্ড ব্যাগ তল্লাশি করে কয়েকটি পাউচ পাওয়া যায়। গাড়ি তল্লাশি করে আরও কিছু পাউচ মেলে। তাতেই ভরা ছিল কোকেন। পুলিশ পামেলা গোস্বামী ও প্রবীর দে কে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, পামেলার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া সিকিউরিটি ছিল।
পামেলা সহ প্রবীর দে’কে নিউ আলিপুর থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেস্টা করছেন তাঁরা বলে পুলিশ সূত্রের খবর। শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হবে ধৃতদের। পুলিশের অনুমান, মাদক পাচার চক্রের জাল আরও বহুদূর ছড়িয়ে রয়েছে। পাচারের সঙ্গে আরও কেউ জড়িয়ে রয়েছে কিনা তদন্ত করেছে পুলিশ। তাঁরা কি নিজেদের জন্যই কোকেন কিনেছিল নাকি তা পাচার করা হতো? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন- লালার খোঁজে রাজ্য জুড়ে তল্লাশি]
এই বিষয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানান, এটা সাজানো ঘটনা কিনা খতিয়ে দেখতে হবে। সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি অবশ্য অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁর দাবি, রাজ্য পুলিশ চক্রান্ত করে মাদক কেসে বাচ্চা মেয়েটিকে ফাঁসিয়ে দিচ্ছে।
এদিকে বিজেপি নেতাদের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল। এর আগেও বিজেপি শিশু চুরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের।
হুগলি জেলা বিজেপির যুব মোর্চার পর্যবেক্ষক পামেলা। সূত্রের খবর, নিউটাউনে একটি বিউটি পার্লার চালান পামেলা। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই মাদকাসক্ত বলে অনুমান পুলিশের। পুলিশের কাছে খবর ছিল নিউ আলিপুরে একটি কফি শপের বাইরে মাদক লেনদেন চলে। সেখানে ফাঁদ পেতেই হাতেনাতে বিজেপি নেত্রী পামেলাকে ধরে ফেললো কলকাতা পুলিশ।
Comments are closed.