OR Code স্ক্যান করেই মুহূর্তে জানা যাবে হাজার বছরের ইতিহাস, বাংলার স্থাপত্যগুলি নিয়ে অভিনব উদ্যোগ ASI- এর

সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপত্য। হাজার বছরের পুরনো মন্দির থেকে শুরু করে প্রাচীন মসজিদ, ইমারত। কোনওটার ঐতিহাসিক তথ্য আমরা জানতে পারি, আবার কোনও স্থাপত্য সৃষ্টির দলিল দস্তাবেজ অজানাই থেকে যায় চিরকাল। ঐতিহাসিক স্থানগুলি ঘুরতে গিয়ে এমন কত প্রাচীন স্থাপত্য দেখতে পাই, যার সৃষ্টির গল্প জানতে উদগ্রীব হয়ে উঠি আমরা। কোন রাজা কোন সময়ে মন্দিরটি তৈরি করেছিলেন, জানতে পারলে ভ্রমণের রোমাঞ্চ আরও বহুগুণ বেড়ে যায়। এবার ইতিহাস প্রেমীদের সেই সমস্যা দূর করতে অভিনব উদ্যোগ নিল ভারত সরকারের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা ASI।

রাজ্যের ঐতিহাসিক স্থাপত্যগুলিতে কিউআর কোড বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে ASI। পর্যটকেরা নিজেদের স্মার্ট ফোন থেকে স্থাপত্যগুলির গায়ে লাগানো কিউআর কোড স্ক্যান করলেই ওই স্থাপত্য সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন। স্থাপত্য তৈরির সময় তার নকশা, কোনও রাজার আমলে তৈরি, বিশেষত্ব কী? কোড স্ক্যান করলেই মুহূর্তে সব জানা যাবে।

ASI তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে কলকাতা সার্কেলের ৮৬ টি স্থাপত্যকে এই পরিকল্পনায় আওতায় আনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরে ১০ টি মন্দিরে কিউআর কোড লাগানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বাঁকুড়া জেলের বিষ্ণুপুর জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অগুনতি প্রাচীন স্থাপত্য। কার্যত হাজার বছরের ইতিহাসের দলিল এই মন্দিরের শহর। কোনও স্থাপত্যের বয়স কয়েকশো বছর তো কোনওটার আবার হাজার। ইতিহাসের টানে প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক ভিড় করেন বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরে। এএসআইয়ের এই উদ্যোগে খুশি ইতিহাসপ্রেমীরা।

Comments are closed.