অসম এনআরসি: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির ভাইপোর নামই বাদ, নাগরিকত্ব প্রমাণে মরিয়া চেষ্টা জিয়াউদ্দিন আলি আহমেদের
তিনি ভারতের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদের ভাইপো। সেই জিয়াউদ্দিন আলি আহমেদেরই নাম নেই অসমের নাগরিকপঞ্জির খসড়ায়। দেশের পঞ্চম রাষ্ট্রপতির ভাইপো এখন নিজেকে ভারতের নাগরিক প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন।
জিয়াউদ্দিনের বাবা এহত্রামুদ্দিন আলি আহমেদ ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফাকরুদ্দিন আলি আহমেদের ছোট ভাই। তাঁদের বাবা ডক্টর জালনুর আহমেদ অসমের প্রথম ডাক্তারি পাশ করা আর্মি কর্নেল। অসমবাসী একডাকে চেনেন এই পরিবারকে। কিন্তু তাতে কী? উপযুক্ত নথির অভাবে এবং টেকনিক্যাল জটিলতায় অনেকের মতো নিজেদের ভারতীয় প্রমাণ করতে হিমসিম খাচ্ছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির পরিবার!
এনআরসির খসড়ায় নাম নথিভুক্ত করতে হলে আবেদনকারীদের প্রমাণ দিতে হবে তাঁদের পূর্বপুরুষরা ১৯৭১ সালের ২৪ শে মার্চের আগে থেকেই এ দেশের বাসিন্দা। সেক্ষেত্রে অসমের প্রায় সব মানুষ নিজেদের নাগরিক প্রমাণপত্র হিসেবে ১৯৫১ সালের এনআরসি বা ১৯৭১ সালের ভোটের আগের নথি জোগাড় করেছেন। কিন্তু উত্তরাধিকারের এমন কোনও প্রমাণপত্র খুঁজে পায়নি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির পরিবার। অসমের গোলাঘাটে দাদুর বাড়িতে গিয়েও তেমন কিছু জোগাড় করতে পারেননি জিয়াউদ্দিন। অন্যদিকে, এনআরসি সেবা কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে জ্বলজ্বল করছে উত্তরাধিকারের তথ্য খোঁজার জন্য মানুষের পাশে আছেন তারা। যদিও জিয়াউদ্দিন ও তাঁর পরিবারের অভিযোগ, এনআরসি সেবা কেন্দ্রে গেলে তাদের খালি হাতেই ফিরতে হয়। এরপর বহু চেষ্টায় বাবা এহাত্রামুদ্দিনের কেনা জমির কিছু নথি জোগাড় করেছিলেন জিয়াউদ্দিন আলি আহমেদ। কিন্তু তা জমা দিতে গেলে দেখা যায় এনআরসির নথি জমা দেওয়ার ডেডলাইন পেরিয়ে গিয়েছে।
তাহলে এখন করণীয় কী? এনআরসি সেবা কেন্দ্র থেকে নাগরিকপঞ্জির খসড়া প্রকাশ হওয়ার এক সপ্তাহ পর জিয়াউদ্দিনের পরিবারকে দেখা করতে বলা হয়েছে। তখন বলা হবে তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ। ততদিন শুধুই অপেক্ষা…
Comments are closed.