এক পক্ষের বিশ্বাসকে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, অযোধ্যা রায়ের পুনর্বিবেচনা চান ৪০ জন সমাজকর্মী

গত ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক অযোধ্যা জমি মামলার (Ayodhya Verdict) রায় দিয়েছে দেশের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। এই রায়ের বিরোধিতা করে এবার শীর্ষ আদালতে রিভিউ পিটিশন দায়ের করলেন দেশের ৪০ জন সমাজকর্মী এবং নাগরিক অধিকার আন্দোলন কর্মী। আবেদনকারীদের এই তালিকায় রয়েছেন নন্দিনী সুন্দর, হর্ষ মন্দার, জয়তী ঘোষ, ইরফান হাবিবের মতো লেখক ঐতিহাসিক এবং সমাজকর্মীরা।
এই রিভিউ পিটিশনের আবেদনকারীরা জানিয়েছেন, যদিও তাঁরা মূল মামলায় কোনও পক্ষ নন, তবে তাঁদের মনে হয়েছে এই রায়ের প্রভাব সরাসরি পড়বে দেশের বহুমাত্রিক সংস্কৃতি ও ধর্মনিরপেক্ষ দেশের সংবিধানের উপর, তাই এই আবেদন জানানো হচ্ছে।

আবেদনে আরও বলা হয়েছে, রায় দেখে মনে হচ্ছে এক পক্ষের বিশ্বাসকে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এই রায় (Ayodhya Verdict) হিন্দু-মুসলিম বিশ্বাসের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হবে বলে তাঁদের আশঙ্কা। আবেদনকারীদের পক্ষে শীর্ষ আদালতে এই রিভিউ পিটিশন দায়ের করেছেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। তিনি বলেছেন, রায় দেখে মনে হচ্ছে আদালত হিন্দুদের বিশ্বাসকে অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং অযোধ্যার ওই বিতর্কিত স্থানই যে রামের জন্মভূমি তা মেনে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছে শীর্ষ আদালত। রায়ে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির গড়ে উঠবে। সেখানে হিন্দুদের দাবিই মান্যতা পায় সব তথ্য খতিয়ে দেখে এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় ট্রাস্ট গঠন করে সেখানে সকল সংশ্লিষ্ট পক্ষকে নিয়ে মন্দির তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু করার জন্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি, মুসলিমদের অযোধ্যায় ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশও সরকারকে দিয়েছে আদালত। ওই স্থানের উপর মুসলিমদের যে দাবি রয়েছে সেই অধিকারও প্রমাণিত হয়নি বলেও জানিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট।

Comments are closed.