চার বছর পর বাংলাদেশের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় জড়িত আট আসামীর মধ্যে সাতজনের মৃত্যুদণ্ড দিল ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।
ফাঁসির দণ্ড পাওয়া আসামীদের নাম রাবিকুল ইসলাম রিগ্যান, রাজীব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, আবদুস সুবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মোহাম্মদ হাদিসুর রহমান সাগর, মামুনুর রশিদ রিপন ও শরিকুল ইসলাম খালেদ। বুধবার এই মামলায় খালাস হয়েছে কেবল মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান। বাংলাদেশ পুলিশ জানাচ্ছে, ওই সাত জনের মধ্যে আবদুস সুবুর খান বর্ধমানের খাগড়াগড় হামলায় জড়িত ছিল।
২০১৬ সালের ১ জুলাই। ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলা নাড়িয়ে দিয়েছিল পুরো বাংলাদেশকে। ২০ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসবাদীরা। মৃতদের মধ্যে ১৬ জনই ছিলেন বিদেশি পর্যটক। এক ভারতীয়, ন’জন ইতালীয়, সাত জন জাপানি ও তিন জন বাংলাদেশিকে নির্মমভাবে হত্যা করে জঙ্গিরা।
ঘটনার তদন্তে নামে বাংলাদেশ পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে নব্য জেএমবি জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম। যারা জঙ্গি হানার পর নিজেদের আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর লোক (ইসলামিক স্টেট) বলে দাবি করেছিল।
ওই ঘটনার পর বাংলাদেশের পুলিশ একের পর এক অভিযান চালিয়েছে ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়। অভিযানে আগেই নিহত হয় বেকারি হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী তামিম চৌধুরীসহ আট জঙ্গি। এ ঘটনায় জড়িত থাকা বাকি আট জঙ্গির ঠাঁই হয় কারাগারে। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে ওই জেএমবি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়। গত এক বছরে এই মামলায় ১১৩ জন সাক্ষীকে হাজির করেছে সরকার পক্ষ। সাক্ষীদের মধ্যে ছিলেন হোলি আর্টিজান বেকারির মালিক ও কর্মী, যেসব বাড়িতে আস্তানা গেড়ে এই হামলার ছক কষা হয়েছিল সেসব বাড়ির মালিকদের। অবশেষে বুধবার এই আট জন জঙ্গির সাজা ঘোষণা হয়।
Comments are closed.