পুরসভা ভোটকে সামনে রেখে শনিবার থেকে শুরু হল রাজ্যের শাসক দলের ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচি। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া মেলার পর ভোটের আগে জনসংযোগের লক্ষ্যে রাজ্যজুড়ে প্রচারে নামল তৃণমূল। জনসংযোগের লক্ষে প্রথমে রাজ্য সব বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন দিয়ে শুরু হল তিন দফা কর্মসূচির প্রথম ধাপ। তারপর ৭৫ দিন ধরে নানাভাগে চলবে এই কর্মসূচি। ৭ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের এই কর্মসূচিতে থাকছে তৃণমূল কর্মী সম্মেলন, ‘জলযোগ যোগাযোগ’ এবং স্বীকৃতি সম্মেলন। ৮ থেকে ১৪ মার্চ ‘জলযোগ যোগাযোগ’ কর্মসূচিতে দলীয় নেতৃত্বরা ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রের আঞ্চলিক মিডিয়া প্রতিনিধির সঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন।
এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জি বলেন, বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে মমতাকে সামনে রেখে গ্রাম থেকে শহরে ছড়িয়ে দেওয়া হবে তাঁদের এই কর্মসূচি। শনিবার বেহালায় এই কর্মসূচির সূচনা করতে গিয়ে পার্থর মন্তব্য, ১৯৯৮ সাল থেকে যাঁরা দল করছেন, তাঁদের অনেকেই গুমরে গুমরে কাঁদছেন। তাঁদের দলে এনে সম্মান দিতে হবে। প্রসঙ্গত, ১৫ মার্চ স্বীকৃতি সম্মেলনে দলের ১০ হাজার পুরনো কর্মীদের সংবর্ধনা ও সম্মান প্রদান করা হবে এই কর্মসূচিতে।
‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল বঙ্গধ্বনি যাত্রার মাধ্যমে রাজ্যের সবকটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ক্যাম্পেন করবে তৃণমূল। তারপর ১৪ এপ্রিল থাকছে সংহতি সভা, যেখানে তফশিলি জাতি ও উপজাতির প্রভাবশালী নেতাকে চিহ্নিত করে সম্মান প্রদান করা হবে এবং ১৯ এপ্রিল ‘চেতনা সভা’য় তৃণমূল নেতৃত্ব ও তফশিলি জাতির ৫০ হাজার মানুষের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। এরপর তৃতীয় পর্যায়ে বাংলার বার্তা, নবীন বরণ সভা, তৃণমূল পদাতিক সভা ইত্যাদির মাধ্যমে ৭৫ দিনের এই কর্মসূচি শেষ হবে।
Comments are closed.