ভাগীরথীর তীরে মুর্শিদাবাদের ছোট্ট গ্রাম বড়নগরকে একসময় তুলনা করা হতো বারাণসীর সঙ্গে। বাংলার এই সেই গ্রাম এবার পেল দেশের সেরা পর্যটন গ্রামের তকমা। ভাগীরথী নদীর পশ্চিমপাড়ে এই গ্রামে গড়ে তোলা হয়েছিল অপূর্ব সুন্দর ১০৮টি টেরাকোটা মন্দির। নাটোরের রানি ভবানীর অত্যন্ত প্রিয় ছিল বড়নগর। তিনি বারাণসীর মতো সাজিয়ে তুলেছিলেন গ্রামকে। জীবনের শেষ দিকে তিনি এখানেই অতিবাহিত করেন। কেন্দ্রের পর্যটন মন্ত্রক কৃষিক্ষেত্রে সেরা পর্যটন গ্রাম হিসেবে বেছে নিয়েছে বাংলার বড়নগরকে।
বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এই খবর জানান। মমতা লেখেন, আমি জানাতে পেরে আনন্দিত যে, বড়নগর গ্রামকে কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যটন মন্ত্রক কৃষি-পর্যটন বিভাগে সেরা পর্যটন গ্রাম হিসেবে নির্বাচিত করেছে। ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবসে এই পুরস্কার দেওয়া হবে।’ লালবাগ মহকুমার মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লকের বড়নগরে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী চারবাংলা মন্দির।
এছাড়া রাজ রাজেশ্বরী, ভবানীশ্বর, জোড় বাংলা, পঞ্চমুখী শিব মন্দির সহ মোট ছ’টি মন্দির রয়েছে। বাকি ১০৮টি মন্দিরের অধিকাংশই বিলুপ্তির পথে। তবে রানি ভবানীর বসতবাড়ি এখনও এই গ্রামে রয়েছে। চার-বাংলা মন্দিরের পাশে টেরাকোটার কাজ করা চারটি অষ্টকোণ শিবমন্দির রয়েছে। চার-বাংলা মন্দিরের দক্ষিণ দিকে আঞ্চলিক লোকদেবতা পঞ্চাননরূপী শিবের একটি এক-বাংলা মন্দির এখনও রয়েছে।
Comments are closed.