বৃহস্পতিবার সকালে যখন ভারতীয় বায়ুসেনার বন্দি পাইলট অভিনন্দনকে নিয়ে টানাপোড়েন, দেশজুড়ে উৎকন্ঠা, সেই সময়ই শুরু হয়ে গেল আর এক ভারত-পাক যুদ্ধ। বলা যেতে পারে, এই যুদ্ধে মুখোমুখি এদেশের এক সাংবাদিক এবং পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতায় থাকা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি। তবে এ যুদ্ধের প্রান্তর পাক অধিকৃত কাশ্মীর কিংবা নিয়ন্ত্রণ রেখা নয়, ভার্চুয়াল মিডিয়া।
বুধবারই কর্ণাটকের বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পা দাবি করেছিলেন, পাকিস্তানের বালাকোটের জঙ্গি ঘাঁটিতে বিমান হানা বিজেপির পক্ষে ভোট বাক্সে ঝড় তুলবে। আসন্ন লোকসভা ভোটে কর্ণাটকে ২৮ টির মধ্যে ২২ টিরও বেশি আসন জিতে নেবে বিজেপি। তারপরই দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়। এই প্রেক্ষিতেই ইয়েদুরাপ্পার মন্তব্যের সমালোচনা করে বৃহস্পতিবার সকাল ৯.৫৬ মিনিটে একটি ট্যুইট করেন সাংবাদিক বরখা দত্ত।
বুধবারই কর্ণাটকের বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পা দাবি করেছিলেন, পাকিস্তানের বালাকোটের জঙ্গি ঘাঁটিতে বিমান হানা বিজেপির পক্ষে ভোট বাক্সে ঝড় তুলবে। আসন্ন লোকসভা ভোটে কর্ণাটকে ২৮ টির মধ্যে ২২ টিরও বেশি আসন জিতে নেবে বিজেপি। তারপরই দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়। এই প্রেক্ষিতেই ইয়েদুরাপ্পার মন্তব্যের সমালোচনা করে বৃহস্পতিবার সকাল ৯.৫৬ মিনিটে একটি ট্যুইট করেন সাংবাদিক বরখা দত্ত।
আর তাতেই ঘৃতাহুতি পড়ে যখন ইমরানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ তাদের সরকারি ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে বরখার ট্যুইটটি, রিট্যুইট করে।
সেখানে লেখা হয়, আশা করি বুঝতে পারছেন, একটি যুদ্ধের দিকে আপনাদের টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ভোটে জিততে মরিয়া মানুষগুলোকে বিচ্ছিন্ন করুন। দেশ, সেনাবাহিনী কিংবা সাধারণ মানুষ, যারা প্রকত অর্থে যুদ্ধের শিকার হন, তাদের কারও আগ্রহের তালিকাতেই যুদ্ধের নাম নেই। রাজনৈতিক লাভের আশায় একজন মানুষকে এটা ব্যবহার করতে দেবেন না। এরপরই আসে ফের বরখার ট্যুইট।
নিজের ট্যুইটে বরখা সমালোচনা করেন ইমরানের দলকে। একটি রাজনৈতিক দলের ট্যুইটার হ্যান্ডেল কীভাবে প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এক সাংবাদিকের ট্যুইটকে তুলে ধরে সমালোচনা ও মতামত ব্যক্ত করে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাংবাদিক বরখা দত্ত। ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমার দেশ একস্বরে দৃঢ়ভাবে কথা বলে। আমাদের ঘরোয়া রাজনীতি এবং বিতর্ক একান্তভাবেই আমাদের বিষয়, অন্য কারও নয়। দয়া করে নিজেদের বিষয়গুলোর উপর নজর দিন’। এরপর ফের বরখা দত্তর ট্যুইটকে রিট্যুইট করে তার জবাব দেয় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ।
ইমরানের দলের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে দাবি করা হয়, ‘যখন আপনাদের ঘরোয়া রাজনীতি সমগ্র অঞ্চলকে যুদ্ধের মুখে এনে ফেলছে এবং পাকিস্তানকেও তাতে টেনে আনা হচ্ছে, তখন এটা আমাদেরও বিষয় হয়ে ওঠে। আমরা (পাকিস্তানের) প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকেই বারবার তুলে ধরতে চাই যে শুভবুদ্ধির উদয় হোক (#LetBetterSensePrevail)। আমরাও সন্ত্রাসবাদের শিকার। আলোচনাই সমাধানের একমাত্র পথ।
তারপর এই খবর লেখা পর্যন্ত (১ মার্চ ২০১৯, বিকেল ৪ টে) বরখা দত্তের তরফে কোনও প্রত্যুত্তর দেওয়া না হলেও ইয়েদুরাপ্পা কিন্তু তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন। কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, কয়েক মাস ধরেই তিনি বলে আসছেন, মোদীর যোগ্য নেতৃত্বের গুণেই কর্ণাটকে অন্তত ২২ টি আসন পাবে বিজেপি।
কিন্তু বিজেপি নেতার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বরখা দত্তের সঙ্গে ইমরানের পার্টির এই ট্যুইট যুদ্ধ বৃহস্পতিবার থেকেই অন্যতম আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়!
তারপর এই খবর লেখা পর্যন্ত (১ মার্চ ২০১৯, বিকেল ৪ টে) বরখা দত্তের তরফে কোনও প্রত্যুত্তর দেওয়া না হলেও ইয়েদুরাপ্পা কিন্তু তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন। কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, কয়েক মাস ধরেই তিনি বলে আসছেন, মোদীর যোগ্য নেতৃত্বের গুণেই কর্ণাটকে অন্তত ২২ টি আসন পাবে বিজেপি।
কিন্তু বিজেপি নেতার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বরখা দত্তের সঙ্গে ইমরানের পার্টির এই ট্যুইট যুদ্ধ বৃহস্পতিবার থেকেই অন্যতম আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়!
Comments are closed.