করোনা: বেলুড় মঠের দুর্গা পুজোয় সাধারণ দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন না, এবার পুজো হবে মূল মন্দিরের ভেতরে
বেলুড় মঠের পুজোয় এবছর সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করল মঠ কর্তৃপক্ষ। রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের ট্রাস্টি মেম্বার স্বামী দিব্যানন্দজি মহারাজ জানান, বর্তমানের এই করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবছর সাধারণ ভক্তরা মঠের পুজোতে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ১১৯ বছরের ঐতিহ্যবাহী পুজোয় এই প্রথম কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত। যদিও তিনি জানিয়েছেন, প্রত্যেক বছরের মতো এবছরও পুজো হবে সমস্ত আচার বিধি মেনে। তবে প্রতি বছর মঠের বড়ো মন্দিরের (মূল মন্দির) পূর্ব দিকের মাঠে পুজো অনুষ্ঠিত হলেও, এবছর পুজো মূল মন্দিরের ভেতরে হবে এবং প্রতিমার আকারও গতবারের তুলনায় ছোট করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত , তিন মাস বন্ধ থাকার পরে গত ১৫ জুন বেলুড় মঠ সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য খোলা হয়। কিন্তু মঠের কয়েকজন সন্ন্যাসী ও কর্মচারী কোভিড সংক্রমিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ ফের অগাস্টের ২ তারিখ থেকে মঠ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠে এই পুজোর শুভ সূচনা করেছিলেন। মঠের পুজোর বিশেষত্ব জানতে চাওয়ায় স্বামী দিব্যানন্দজি বলেন, দেবীর আরাধনার পাশাপাশি প্রথম বছর স্বামীজী নিজে হাতে আট জন কুমারীকে পুজো করেছিলেন। এখনও কুমারী পুজো মঠের পুজোর বিশেষ আকর্ষণ। চার থেকে সাত বছর বয়সী কোনও ব্রাহ্মণ কন্যাকে কুমারীরূপে পুজো করা হয়। এবং বয়স অনুযায়ী তার পৃথক নামকরণও করা হয়। একথাও শোনা যায়, স্বামীজির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সারদা দেবী স্বয়ং এই পুজোতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এখনও পুজোয় মায়ের নামে সংকল্প করে থাকেন এখানকার সন্ন্যাসীরা।
ঐতিহ্যমন্ডিত এই পুজোয় প্রতি বছরই বিপুল ভক্তসমাগম দেখা যায় । চারদিনব্যাপী পুজোর প্রতি দিনই প্রায় ১০ হাজারের বেশি ভক্ত প্রসাদ পেয়ে থাকেন। বেলুড় মঠের এই নির্দেশিকায় স্বাভাবিক ভাবেই মঠের ভক্তদের মধ্যে কিছুটা হলেও মনখারাপের আবহাওয়া দেখা গেছে। তবে মঠ কর্তৃপক্ষ জানান, প্রতি বছরের মতো এবছরও পুজো অনুষ্ঠান ডিডি বাংলা চ্যানেলে লাইভ সম্প্রচার করা হবে ।
Comments are closed.