৫ মাস পর ময়দানে রাজ্য বিজেপি, শুক্রবার গণতন্ত্র বাঁচাও কর্মসূচিতে সরকারি অফিস ঘেরাও, ঘোষণা দিলীপ ঘোষের
রাজ্যে করোনা অতিমারির প্রায় পাঁচ মাস পর ফের রাজনৈতিক আন্দোলনে নামতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। ৪ সেপ্টেম্বর রাজ্য জুড়ে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ কর্মসূচি ঘোষণা করলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার নিজের বাসভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে দিলীপ বলেন, মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। আমরা মানুষকে নিয়ে পরিবর্তনের পথে এগোব। তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত স্তরে শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে, সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার দাবিতে এবং লকডাউন নিয়ে রাজ্যের ‘স্বেচ্ছাচারের’ বিরুদ্ধে পথে নামছেন তাঁরা।
দিলীপ ঘোষ জানান, শুক্রবার রাজ্যের ৮১ টি বিডিও অফিসের সামনে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ বিক্ষোভে সামিল হবেন বিজেপি কর্মীরা। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে পালিত হবে কর্মসূচি। এদিকে রাজ্য সরকারের লকডাউনের নিয়ম নিয়েও অভিযোগ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশিকা না মেনে রাজ্য সরকার ইচ্ছে মতো লকডাউনের নিয়ম বদলাচ্ছে। রাজ্য সরকার লকডাউনকে হাতিয়ার করে কিছু স্বেচ্ছাচারী মানুষকে সুবিধা দিতে চাইছে বলে মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর কথায়, মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করছে রাজ্য সরকার, লকডাউনের নিয়ম না মেনেই ইচ্ছে খুশি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে, কিছু স্বেচ্ছাচারী মানুষকে সুবিধা করে দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, বিশেষ সম্প্রদায়কে লকডাউনের মধ্যে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে বিজেপি। তাঁর আরও অভিযোগ, মানুষের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। বিরোধী দলের কর্মীরা শাসকদলের হাতে খুন হচ্ছেন। স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা তুলতে যাওয়ায় প্রাণ গিয়েছে বিজেপি কর্মীর, অভিযোগ দিলীপ ঘোষের।
রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও মন্তব্য করতে শোনা যায় দিলীপবাবুকে। তাঁর অভিযোগ, ছাত্রছাত্রীদের জীবন নিয়ে খেলছে সরকার, শিক্ষা ক্ষেত্রে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিচ্ছে মমতার সরকার। কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়ায় কাটমানির অভিযোগ তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
রাজভবন প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যপালকে গৃহবন্দী করে রাখার মত অবস্থা করা হয়েছে। যা একমাত্র এ রাজ্যেই দেখা যায়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যপালকে সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতির।
এই সব ইস্যু নিয়ে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর রাজ্য জুড়ে গণতন্ত্র বাঁচাও অভিযান কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যের সরকারি অফিসের সামনে ধর্না বিক্ষোভ দেখাবেন বিজেপি সমর্থকরা।
কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ কী ঠিক হবে? রাজ্যের শাসক দলই তো লকডাউন মানেনি, খোদ মুখ্যমন্ত্রী রোজ লকডাউন ভাঙেন বলে অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতির। দিলীপ ঘোষের কথায়, বিরোধী দল হিসেবে আমরা তাদের অনুকরণ করছি মাত্র।
Comments are closed.