সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য ‘ঐক্যশ্রী’ প্রকল্পে আবেদনপত্রের সংখ্যা ছাড়াল ৪৬ লক্ষ

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মস্তিষ্কপ্রসূত ‘ঐক্যশ্রী’ প্রকল্পে আবেদনপত্রের সংখ্যা ছাড়াল ৪৬ লক্ষ। রাজ্যের সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের এই আর্থিক সহায়তা প্রকল্প চলতি আর্থিক বছর থেকে শুরু হয়েছে। মমতা ব্যানার্জির সরকারের অভিযোগ, সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের আর্থিক সাহায্যের জন্য কেন্দ্রের বিশেষ প্রকল্প থাকলেও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সংখ্যালঘু পড়ুয়ার আবেদনপত্র খারিজ করে দেয়। দুই আর্থিক বছর ধরে কেন্দ্রের তরফে কোনও সাহায্য না পেয়েই ‘ঐক্যশ্রী’ প্রকল্পের সূচনা করেন রাজ্যের সংখ্যালঘু দফতরের মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম (ডব্লুবিএমডিএফসি) দ্বারা এই প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হচ্ছে।
সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য এই প্রকল্পের সূচনাতেই দারুণ সাড়া পড়েছে। এখনও পর্যন্ত ৪৬ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে বলে সরকারি সূত্রে খবর। মোট তিনটি পর্যায়ে সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য এই স্কলারশিপ চালু করা হয়েছে। প্রথমে, প্রি- ম্যাট্রিক বা প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি, এরপর একাদশ শ্রেণি থেকে উচ্চশিক্ষা এবং তৃতীয়ত, কারিগরি তথা দক্ষতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের জন্য সহায়তা। যদিও ঠিক একই রকমের একটি প্রকল্প রয়েছে কেন্দ্রের। এর নাম ‘ন্যাশনাল স্কলারশিপ পোর্টাল’। রাজ্যের অভিযোগ, গত দুই আর্থিক বছরে বাংলা থেকে ৩০ লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছিল কেন্দ্রের এই স্কলারশিপ পেতে। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র সাত লক্ষের আবেদন গৃহীত হয়েছে। বাদ গিয়েছে প্রায় ২৩ লক্ষ সংখ্যালঘু পড়ুয়ার আবেদন। অভিযোগ, কেন্দ্রের কাছে এ নিয়ে বেশ কয়েকবার  আর্জি জানানো হলেও তাতে কাজ হয়নি। এরপরই নবান্নের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রাজ্যের তরফে এককভাবে সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি স্কলারশিপ চালু হবে। এরপরেই চালু হয় ‘ঐক্যশ্রী’ প্রকল্প।
এই মুহূর্তে এই প্রকল্পের আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন স্কলারশিপ পেয়েও গিয়েছে। এই স্কলারশিপের আবেদন পুরোপুরি অনলাইনে হবে। গত দু’টি আর্থিক বছরে কেন্দ্রীয় স্কলারশিপ থেকে বাদ যাওয়া পড়ুয়াদের নাম খুঁজতে জেলাশাসক, মহকুমা শাসক, বিডিও-দের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পড়ুয়াদের আবেদন গৃহীত হলে আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা চলে যাবে।

 

Comments are closed.