বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত দুয়ারে ত্রাণ কর্মসূচি
৩ থেকে ১৮ জুন ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারি ত্রাণের জন্য আবেদন করতে পারবেন
যশ পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে দুয়ারের সরকারের অন্তর্গত দুয়ারে ত্রান কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
যশ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল রাজ্য সরকারের দুয়ার ত্রান কর্মসূচি। প্রথম পর্যায়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় ৩৪ টি ক্যাম্প তৈরি হয়েছে আবেদনপত্র গ্রহণের জন্য। মুখ্যমন্ত্রীর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১৮ জুন পর্যন্ত চলবে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া। সংশ্লিষ্ট আবেদনের ভিত্তিতে আধিকারিকরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখবেন। এবং সবশেষে আবেদিনকারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাবে রাজ্য সরকার।
যশ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা জানিয়েছিলেন, ৩ থেকে ১৮ জুন ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারি ত্রাণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ১৯ থেকে ১৮ জুন জমা দেওয়া আবেদনগুলি খতিয়ে দেখবেন আধিকারিকরা। তারপর ১ লা জুলাই থেকে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাবে রাজ্য সরকার। ৭ জুলাইয়ের মধ্যে সমস্ত ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে ত্রাণের টাকা পাঠানোর আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘোষণা মোতাবেক ২৭ মে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় যশ ও ভরা কোটালের যৌথ আঘাতে পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগণায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সুন্দরবন ও দিঘা উপকূল। বিঘের পর বিঘে জমি জলের তলায় তলিয়ে যায়। মৎস চাষেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বহু গ্রাম এখনও জলের তলায়।
মুখ্যমন্ত্রী আকাশপথে দুই ২৪ পরগণা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখেন। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশও দেন মমতা।
সরকারি হিসেবে সারা রাজ্যজুড়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। জলের তোড়ে শুধুমাত্র ১৩৫ টি নদী বাঁধ ভেঙেছে। যার জেরে প্লাবিত একাধিক গ্রাম।
Comments are closed.