করোনা পরিস্থিতি ও আনলক পর্যায়ে বিভিন্ন রাজ্যের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে শীর্ষে রয়েছে বাংলা। জানাচ্ছে গুগলের সাম্প্রতিক সমীক্ষা।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। এই প্রেক্ষিতে কোন রাজ্য কতটা এগিয়েছে, তা বিচার করতে সমীক্ষা চালায় গুগল। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপির অবস্থা ভালো, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বহর বেশি, এমন ১২টি রাজ্যকে সামনে রেখে সমীক্ষা চালানো হয়। সেখানে প্রথম ছ’টি রাজ্যের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলা।
‘ওয়ার্কফোর্স মোবিলিটি’র মাপকাঠিতে বিচার করে দেখা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণের মধ্যেও অফিস বা কাজের জায়গাগুলি স্বাভাবিক থাকা, সেখানে কর্মীদের নিয়মিত যাতায়াত, সময় মাফিক কাজ ইত্যাদিতে দেশের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ।
গত অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সমীক্ষা চলে। ফলাফল বলছে, গত বছরের একই সময়ের নিরিখে ‘মোবিলিটি’ বৃদ্ধির হার বাংলায় ৪ শতাংশ। এ রাজ্য ছাড়া শুধুমাত্র তামিলনাড়ু ও দিল্লিতে মোবিলিটি ‘পজিটিভ’। অর্থাৎ এই তিন রাজ্যের বাইরে দেশের কোথাও সাধারণ মানুষ স্বাভাবিক কর্মজীবনে ফিরতে পারেননি। গত বছরের নিরিখে বৃদ্ধির হারও সর্বত্র নেগেটিভ। ভারতের ১২টি রাজ্যের বাইরে মাঝারি অর্থনীতির রাজ্যগুলিতে মোবিলিটির হার মাইনাস ৫.২ শতাংশ বলে জানাচ্ছে গুগলের সমীক্ষা। আর ছোট অর্থনীতির রাজ্যগুলিতে এই পরিসংখ্যান মাইনাস ৯.৭ শতাংশ। দেশে সার্বিকভাবে মোবিলিটির হার মাইনাস ২.১ শতাংশ। শিল্পে এগিয়ে থাকা দুই রাজ্য, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতে মোবলিটির হার যথাক্রমে মাইনাস ১ শতাংশ এবং মাইনাস ১.৫ শতাংশ!
এছাড়াও নিউ নর্মালের চরিত্র বিশ্লেষণে জিএসটি আদায়, বিদ্যুৎ ব্যবহার এবং নতুন গাড়ি কেনার দিকে নজর দিয়েছিল এই সমীক্ষা। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এ রাজ্যে সেপ্টেম্বরে জিএসটি আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে ৪.২ শতাংশ। বিদ্যুৎ খরচ বেড়েছে ২.৯ শতাংশ এবং নতুন গাড়ি কেনার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৯.৪ শতাংশ।
এদিকে যে রাজ্যগুলির মধ্যে জিএসটি আদায় নেগেটিভ হয়েছে বলে জানাচ্ছে সমীক্ষা সেগুলি হল, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, উত্তর প্রদেশ ইত্যাদি। এমনকী নতুন গাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রে বাংলা পিছনে ফেলেছে মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, কর্ণাটক, গুজরাত, রাজস্থান, কেরল, দিল্লিকে। এ ক্ষেত্রে তামিলনাড়ুর পরে দ্বিতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ। বিদ্যুৎ খরচের নিরিখেও এ রাজ্যের অবস্থা যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক বলে জানাচ্ছে গুগলের সমীক্ষা।
Comments are closed.