মা বাঙালি, বাবা খ্রিস্টান, মুসলিম পরিবারে লালনপালন! অতিরিক্ত সুন্দরী হওয়ার কারণেই বলিউড শেষ করে দেয় কেরিয়ার, অতিরিক্ত সুন্দরী হওয়ায় কাজ পাননি দিয়া মির্জা
বলিউডের সুন্দরী অভিনেত্রীদের কথা বলতে গেলে দিয়া মির্জার কথা আসবেই। ২০০১ সালে বলিউডে ডেবিউ ঘটেছিল এই অভিনেত্রীর। সেই সময় মডেল হিসেবে বেশ ভালই পরিচিতি পেয়েছিলেন দর্শকমহলে। ঐসময়ে ‘মিস এশিয়া প্যাসিফিক’কের শিরোপা জিতেছিলেন দিয়া মির্জা। ‘রেহেনা হে তেরে দিল মে’ ছবির হাত ধরে বলিউডে ডেবিউ ঘটেছে অভিনেত্রীর। এই ছবিতে অভিনেত্রী আর মাধবনের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। উল্লেখ্য, আজও মানুষের মধ্যে দিয়া মির্জা তার এই প্রথম ছবির জন্য পরিচিত থেকে গেছেন।
১৯৮১ সালে অভিনেত্রী হায়দ্রাবাদে ফ্র্যাঙ্ক হেন্ড্রিক আর দীপার কোল আলো করে এসেছিল অভিনেত্রী। তার বাবা ছিলেন জার্মান এবং মা ছিলেন বাঙালি। চার বছর বয়সেই তোর বাবার সাথে তার মায়ের ডিভোর্স হয়ে যাযায় এরপরে আহমেদ মির্জাকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন অভিনেত্রী মা।
দিয়া মির্জা ছোট থেকেই স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করতে পছন্দ করতেন। কলেজে পড়ার সময় থেকেই তিনি মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ পদে ৫ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করার পাশাপাশি মডেলিং’ও চালিয়ে যেতেন। সেইসময় মডেলিং করার পাশাপাশি অভিনয় করার একটা সুযোগ খুঁজছিলেন অভিনেত্রী।
২০০০ সালেই ‘মিস এশিয়া প্যাসিফিক’এর শিরোপা জেতেন অভিনেত্রী। এই শিরোপা জেতার পর তাকে বলিউডের দরজায় দরজায় ঘুরে ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ খুজতে হয়নি। তার কাছে সুযোগ এসেছিল নিজে থেকেই। এরপরই তিনি বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় হিট ছবি ‘রেহেনা হে তেরে দিল মে’তে মাধবনের বিপরীতে অভিনয় করে রীতিমতো চর্চায় উঠে আসেন। এই ছবিতে অভিনয় করার পর থেকেই দর্শক মহলে পরিচিতি পেতে শুরু করেছিলেন তিনি।
দিয়া মির্জা অভিনীত কয়েকটি জনপ্রিয় ছবি, ‘দিওয়ানাপান’, ‘তুমকো না ভুল পায়েঙ্গে’, ‘দম’ ইত্যাদি। ২০১৪ সাল পর্যন্ত বলিউডে মোট ৪২টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তবে বলিউডের তিন খানের মধ্যে কারো সাথেই স্ক্রিন শেয়ার করার সৌভাগ্য হয়নি তার। তিনি নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন অতিরিক্ত সুন্দরী হওয়ার জন্যই তিনি অনেক চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেতেন না। তার কথায়, “আমার রূপ অনেক সময়ই আমার পেশায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি চাকরি হারিয়েছি এবং একটি চরিত্রে আমাকে বাছাই করা হয়নি। কারণ আমি দেখতে সুন্দর। এটা একটা অদ্ভুত ধরনের অসুবিধা।”
অভিনয় জগতে বিশেষ সাফল্য অর্জন করতে না পারায়, ২০১৪’তে স্বামী সাহিল সঙ্ঘের সঙ্গে তিনি নিজের প্রযোজনা সংস্থা ‘বর্ন ফ্রি এন্টারটেইনমেন্ট’ খুলে ফেলেছিলেন। ২০১৪’তে বিয়ে হয়েছিল তাদের। তবে ২০১৯ এই সেই সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে। এরপরে স্বামীর সাথে বিচ্ছেদের পর নতুন প্রযোজনা সংস্থা ‘ওয়ান ইন্ডিয়া স্টোরিজ’ খুলে ফেলেন।এরপরে ২০২১’এ বৈভব রেখিকে বিয়ে করেন দিয়া। সদ্য মা হয়েছেন অভিনেত্রী। নিজেদের ছেলেদের নাম রেখেছেন অভ্যান আজাদ।
Comments are closed.