পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের জৌগ্রামের বাসিন্দা পলাশ অধিকারী (৩৪) এবং তার স্ত্রী শুক্লা অধিকারী (২৩) তাঁদের দুই বছরের ছেলেকে নিয়ে সাড়ে তিন মাস ধরে বেঙ্গালুরু জেলে বন্দী রয়েছেন। বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
তাঁদের পরিবারের দাবি, রাজ্য সরকার এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক এবং দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা করুক। এই দম্পতির বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরু পুলিশ ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীনে মামলা করেছে বলে জানা গেছে। পলাশের বাবা-মাকেও পুলিশ আটক করলেও পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
বেঙ্গালুরু পুলিশের একটি দল সম্প্রতি জৌগ্রামে এসেছিলেন। ওই দম্পতির নাগরিকত্ব যাচাই করার জন্য স্থানীয় বাসিন্দা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন। পলাশীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভালো রোজগারের জন্য এই বছরের জুন মাসে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন। যাওয়ার আগে জৌগ্রামে একটি টিনের চালার মধ্যে থাকতেন তিনি।পলাশের বোন শম্পা হালদার বলেন, বেঙ্গালুরুর মারাথাহাল্লি মহকুমার ভারপুর থানায় সুলিবেলে গ্রামে কায়েন খান নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ছিলেন দাদারা। বাবা (পঙ্কজ অধিকারী) ও মা (সবিতা অধিকারী)-ও ওঁদের সঙ্গে গিয়েছিলেন। দিনে ৩০০-৪০০ টাকার শর্তে কায়েনের অধীনে কাজ শুরু করেন অধিকারী দম্পতি। হোটেল, রেস্টুরেন্ট থেকে বর্জ্যপদার্থ সংগ্রহ করতেন তাঁরা। ২৭ জুলাই মাস আচমকাই কায়েনের ডেরায় পুলিশ হানা দিয়ে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে।
জামালপুর ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার (বিডিও) শুভঙ্কর মজুমদার জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরু পুলিশ দাবি করছে, গ্রেফতারের সময় তাঁরা ভোটার কার্ড সহ অন্য নথি দেখাতে পারেনি। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অলোক মাঝি জানিয়েছেন, ওই দম্পতির নাম নির্বাচনী এলাকায় ভোটার হিসেবে রয়েছে। তবুও কেন তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। আমরা আমাদের সাধ্যমত সব করছি। এই পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর আশা, শীঘ্রই ছাড়া পাবেন পলাশরা।
Comments are closed.