উপনির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হবে, এই শব্দটি কার ব্যবহার? কমিশনের আইনজীবীকে প্রশ্ন বিচারপতি বিন্দলের
উপনির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হবে, এই শব্দগুলি কারা ব্যবহার করেছে? ভবানীপুরের ভোট নিয়ে করা জনস্বার্থ মামলায় কমিশনের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল।
বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ভবানীপুরের উপনির্বাচন মামলার শুনানি ছিল। এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বিন্দল কমিশনের আইনজীবীকে জিজ্ঞেস করেন, ভবানীপুরে ভোট না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হবে এই শব্দবন্ধটি কার ব্যবহার করা। উত্তরে কমিশনের আইনজীবী জানান তিনি জানেন না এটি কার ব্যবহার। এরপরেই ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, শুক্রবার এই সংক্রান্ত হকফনামা পেশ করতে হবে কমিশনকে।
পাশাপাশি এদিন ডিভিশন বেঞ্চ এও জানতে চায়, নির্বাচন করানো নিয়ে কমিশনের সঙ্গে রাজ্যের তরফে কার কথা বলার দায়িত্বে রয়েছে। এর উত্তরে কমিশন জানায় বিধানসভার সাধারণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে অধ্যক্ষ এই দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে জনস্বার্থ মামলাকারীর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। জিনস্বার্থ মামলাকারী পক্ষ থেকে মেনে নেওয়া হয় যে, সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি কথাটাতে তাঁদের আপত্তি নেই। বিধায়ক না হয়ে কেউ মন্ত্রী হলে সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে ৬ মাসের মধ্যে জিতে আসতে হয়। কিন্তু মামলাকারীর দাবি, যেভাবে বিবৃতিতে ভবানীপুরের নাম উল্লেখ্য হয়েছে তাতে করে প্রশ্ন দাঁড়াচ্ছে কোনও ভূল ধারণার বশবর্তী হয়ে কমিশন ভোট ঘোষণা করে নিতো? মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবার।
Comments are closed.