বিজেপি প্রতিশ্রুতি ভেঙেছে। তাই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে সবক শেখাতে মমতা ব্যানার্জির হাত মজবুত করার ডাক দিলেন বিমল গুরুং। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর রবিবার প্রকাশ্য সভায় বিমল গুরুং দূর্নীতির অভিযোগ তোলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বর্তমান নেতা বিনয় তামাং, অনিত থাপার বিরুদ্ধে।
সেই সঙ্গে শিলিগুড়িতে প্রকাশ্য সভায় পৃথক গোর্খাল্যান্ড গড়ার ডাক দেন তিনি।
২০১৭ সালের জুন মাস থেকে ফেরার হয়ে যান বিমল গুরুং, রোশন গিরি-সহ মোর্চার প্রথম সারির নেতারা। সেই সময় গুরুং এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা-সহ যাবতীয় সম্পত্তি ক্রোক করে নেয় প্রশাসন। জারি হয় লুক আউট নোটিস।
এতদিন পর প্রকাশ্যে এসে শিলিগুড়ির ইন্দিরা গান্ধী ময়দানে সভামঞ্চে উঠে বিমল বলেন, পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বিজেপিকে লক্ষ লক্ষ ভোটে বারবার জিতিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। অথচ মোর্চার ভোটে জয়লাভ করেও পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধানে উদ্যোগ নেননি নরেন্দ্র মোদী। পাহাড়ের ১১টি জনজাতির স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বললেও সেটাও করেনি বিজেপি সরকার। বলেন, এই মুহূর্তে পাহাড়ের মানুষ আর বিজেপিকে বিশ্বাস করে না। দার্জিলিং সাংসদ রাজু বিস্তার উচিত পদত্যাগ করা। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পক্ষে। তাই এবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড় তরাই ডুয়ার্সের গোর্খারা তৃণমূলের পাশে থেকে সবক শেখাবে বিজেপিকে। পাহাড়ে বিজেপির চ্যাপ্টার ক্লোজড বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গুরুংয়ের ডাক, পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্সের সব আসন তাঁরা তুলে দিতে চান তৃণমূলের ঝুলিতে। বিমল গুরুং বলেন, শিলিগুড়ির মতো তিনি একে একে কার্শিয়াং, কালিম্পং, মিরিকেও সভা করবেন। তাঁকে আটকানোর ক্ষমতা কারও নেই। তাঁর অবর্তমানে পাহাড় উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা দূর্নীতি করেছেন বিনয়-অনিত থাপারা। সময় এলে তার হিসেব নেবেন বলেও হুঁশিয়ারি বিমল গুরুংয়ের।
রবিবার শিলিগুড়িতে বিমল গুরুংয়ের সভায় প্রচুর মানুষ হয়েছিল। যা ভরসা যুগিয়েছে গুরুংপন্থীদের, বলেই মনে কড়া হচ্ছে।
Comments are closed.