চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা করার আগে শ্রীলঙ্কাকে দেখে শিক্ষা নিক কাঠমান্ডু। আস্তে আস্তে গোটা নেপাল গ্রাস করে নিতে পারে চিন। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় কাঠমাণ্ডুকে এভাবেই সতর্ক করলেন ভারতীয় চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) বিপিন রাওয়াত।
লাদাখ সীমান্ত নিয়ে ভারত-চিন দ্বন্দ্ব অব্যাহত। এর মধ্যে গত কয়েকমাস আগে সীমান্ত নিয়ে বিতর্ক হওয়ায় নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কও চরমে ওঠে। এই সমস্যার সমাধান করতে গত দু’মাসে নয়াদিল্লি থেকে কাঠমান্ডু সফরে গিয়েছিলেন ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা RAW প্রধান সামন্ত কুমার গোয়েল, বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ও সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। তার পর ভারত সফরে আসার কথা নেপালের বিদেশ মন্ত্রী প্রদীপ কুমার গেওয়ালির। আর ঠিক এই সময়েই চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে নেপালকে সাবধান করলেন বিপিন রাওয়াত।
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিপিন রাওয়াত বলেন, নেপালের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে কোনওদিন কোনও অস্বচ্ছতা রাখেনি ভারত। তিনি নেপালকে মনে করিয়ে দেন শ্রীলঙ্কার কথা। বলেন, চিনের স্ট্র্যাটিজিই হল প্রচুর পরিমাণ ঋণ দাও। ঋণের দায়ে জর্জরিত করে সেই দেশের উপর চাপ বাড়িয়ে তার ক্ষমতা নিজের হাতে নেওয়ার চেষ্টা কর। এভাবে শ্রীলঙ্কার বন্দর হাম্বানটোটা আগেই নিজেদের দখলে নিয়েছে চিন। সে দেশের সরকার অনেক চেষ্টা করেও এখন লাল সেনার দখলদারি কমাতে পারছে না বলে জানান রাওয়াত। তিনি বলেন, নেপাল যদি সতর্ক না হয়, চিনের টাকার লোভে ভারত বিরোধিতা করে, তাহলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের দেশটাই পুরো পিএলএর কব্জায় করে দিতে হবে তাদের। এমনকি নেপালের পতাকা সরিয়ে দিয়ে চিনের লাল পতাকা উড়তে পারে কাঠমান্ডুতে,মন্তব্য রাওয়াতের।
সম্প্রতি নেপালে প্রচুর পরিমাণে লগ্নি শুরু করে চিন। তবে এখন ভারত-নেপালের কিছুটা কাছাকাছি আসতে পেরেছে। সামরিক ক্ষেত্রে আবার নেপালের সঙ্গে আদান প্রদান শুরু হয়েছে ভারতের। এই প্রেক্ষিতে সিডিএস বিপিন রাওয়াত বলেন ভারত সব সময় নেপালকে নিজেদের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবেই দেখে এসেছে। ভারতের বন্ধুত্ব কিছু পাওয়ার জন্য নয়। নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব। তাই চিনকে নিয়ে তাদের সতর্ক করা হল।
Comments are closed.