প্রথম বিয়ের কথা না জানিয়ে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলেন বিশ্ব হিন্দু মহাসভার নেতা রঞ্জিত বচ্চন। তার জেরেই কি দ্বিতীয় স্ত্রীর ষড়যন্ত্রে খুন?
গত রবিবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে গুলিতে খুন হন বিশ্ব হিন্দু মহাসভার নেতা। অভিযোগ ওঠে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের। যদিও তদন্তে নেমে অন্য ইঙ্গিত পাচ্ছে লখনউ পুলিশ। বৃহস্পতিবার নিহত হিন্দু মহাসভা নেতার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী স্মৃতি শ্রীবাস্তব, তাঁর বন্ধু দীপেন্দ্র কুমার, গাড়ি চালক সঞ্জিত গৌতম ও আততায়ী জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়ি চালক সঞ্জিত ও জিতেন্দ্র দুই ভাই। বচ্চনকে খুন করার জন্য এই দুই ভাইকে সুপারি দেন স্মৃতি এবং তাঁর বন্ধু দীপেন্দ্র।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিশ্ব হিন্দু মহাসভার নেতা বচ্চনের খুনের নেপথ্যে রয়েছে তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সাংসারিক অশান্তি। জানা গিয়েছে, প্রথম স্ত্রীর কথা লুকিয়ে স্মৃতি শ্রীবাস্তবকে বিয়ে করেন ওই নেতা। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন তাঁদের অশান্তি চলার পর ২০১৬ সালে স্বামীর একাধিক সম্পর্কের কথা জানতে পেরে তাঁকে ডিভোর্সও দেন স্মৃতি।
লখনউয়ের পুলিশ কমিশনার সুজিত পাণ্ডে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্মৃতি জানিয়েছেন, সম্প্রতি বন্ধু দীপেন্দ্র কুমারের সঙ্গে তাঁর বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। কিন্তু রঞ্জিত বচ্চন ডিভোর্স মামলার গতি ইচ্ছাকৃতভাবে পিছিয়ে দিচ্ছিলেন। এরপর গত ১৭ জানুয়ারি স্মৃতির বাড়িতে যান হিন্দু নেতা। ১৮ জানুয়ারি নিজেদের বিবাহ বার্ষিকী পালনের জন্য তিনি স্মৃতিকে জোর করেন। রাজি না হওয়ায় তাঁকে শারীরিক হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ স্মৃতির। পুলিশ জানায়, এরপরেই রঞ্জিতকে খুনের ছক কষেন স্মৃতি ও তাঁর বন্ধু দীপেন্দ্র কুমার। সেইমতো দীপেন্দ্রর গাড়ির চালক ও তাঁর ভাইকে দিয়ে খুন করানো হয় বিশ্ব হিন্দু মহাসভার ওই নেতাকে।
রবিবার রঞ্জিতকে গ্লোব পার্কে খুনের পর রায়বেরিলিতে গা ঢাকা দেয় সঞ্জিত ও জিতেন্দ্র। লখনউয়ের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, সঞ্জিত ও জিতেন্দ্রকে লখনউ থেকে, দীপেন্দ্রকে উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি স্মৃতিকে লখনউয়ের বিকাশনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত আরও দু’জনকে আটক করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এসটিএফ।
Comments are closed.