বনগাঁয় পরিবর্তন যাত্রায় নেই বিধায়ক বিশ্বজিৎ, আরও তীব্র তৃণমূলে ফেরার জল্পনা
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন
বনগাঁ উত্তরে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রায় গরহাজির স্থানীয় বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। যার পর নতুন করে বিশ্বজিৎ-এর তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
৮ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় মুখমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। সেই থেকে জল্পনার শুরু তবে কি তাঁর তৃণমূলে ঘর ওয়াপসি হতে চলছে? আলোচনা চলাকালীন সাংবাদিক বৈঠক করে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিশ্বজিৎ দাস। সাংবাদিকদের তৃণমূলে ফেরার প্রশ্নে তিনি বলেন ভবিষতে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় জলসম্পদ প্রতিমন্ত্রী সঞ্জীব বালিয়া বনগাঁ দক্ষিণের নিমতলা থেকে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করেন। বনগাঁ দক্ষিণ থেকে ঘুরে রথ এদিন বনগাঁ উত্তরে পৌঁছায়। বিজেপির অন্যান্য নেতা এই পরিবর্তন যাত্রায় উপস্থিত থাকলেও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গরহাজির বিশ্বজিৎ দাস।
একুশের ভোটের মুখে তৃণমূলের একাধিক নেতা গেরুয়া শিবিরে নাম লিখেয়েছেন। বিশ্বজিৎ তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তবে বিজেপি বিধায়কের সাম্প্রতিক কাজকর্ম দেখে রাজনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান তাঁর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের সম্ভবনা তীব্র হচ্ছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার কোর্ডিনেটর গোপাল শেঠ বলেন, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্যই বিশ্বজিৎ পরিবর্তন যাত্রায় হাজির ছিলেন না। আর বিশ্বজিৎ দাস নিজে জানিয়েছেন শারীরিক অসুস্থার জন্যই কর্মসূচিতে থাকতে পারেননি। সবমিলিয়ে বিশ্বজিত দাসকে নিয়ে কপালে ভাঁজ গেরুয়া শিবিরের।
Comments are closed.