বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ থেকে বিজেপির রথযাত্রার সূচনা করবেন অমিত শাহ। এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, এই দফাতেই মতুয়াগড় ঠাকুরনগরে জনসভা করবেন মোদীর ডেপুটি। কিন্তু সমস্যা অন্যত্র। জানা যাচ্ছে, সভায় আমন্ত্রণ পাননি বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিত দাস! সোমবার এই বিশ্বজিতই দেখা করেছিলেন মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে। সঙ্গে ছিলেন নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিংহ। এই দুইয়ের মধ্যে কি কোনও যোগ রয়েছে? জল্পনা তৈরি হয়েছে।
লোকসভা ভোটের পর নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিংহ ও বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিত দাস তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে।
সোমবার বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিন আচমকাই সুনীল সিংহ এবং বিশ্বজিত দাস মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর জল্পনা শুরু হয়। বিধানসভার অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়, তাহলে কি ঘর ওয়াপসি ঘটতে চলেছে সুনীল, বিশ্বজিতদের? জল্পনায় অক্সিজেন যোগায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে নিরাপত্তা দেওয়ার ঘটনা। বিজেপির তরফে দুই বেসুরো বিধায়কে ডেকে কথা বলা হয়। বিজেপিতেই রয়েছেন বলে দাবি করেন নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং। একই কথা বলেন বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসও। ফিরিয়ে দেন রাজ্যের দেওয়া নিরাপত্তা।
[আরও পড়ুন- রাত পোহালেই বাম ছাত্র-যুবর নবান্ন অভিযান, প্রস্তুত পুলিশ]
এই অবস্থার মধ্যেই ঠাকুরনগর আসছেন অমিত শাহ। কিন্তু আমন্ত্রণ পাননি বিশ্বজিত। রাজনৈতিক মহল বলছে, বিজেপিতে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বনিবনা নেই বিশ্বজিতের। এই কারণেই বিশ্বজিত দাস নতুন দলে কিছুটা নিষ্ক্রিয় বলেও দাবি করেন নিচু তোলার বিজেপি কর্মীরা। মমতার সঙ্গে দেখা করার পরই বিজেপি বিশ্বজিতকে আশ্বাস দেয়, শান্তনুর সঙ্গে এনিয়ে কথা বলা হবে।
কিন্তু সেই প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই জানা গেল শান্তনু ঠাকুরের পাড়ায় অমিত শাহের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রই দেওয়া হয়নি বনগাঁ উত্তরের বিধায়ককে। এই দোটানার মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কোচবিহারে পরিবর্তন যাত্রার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে সভা করবেন তিনি। এখন প্রশ্ন হল শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে কাজিয়া মিটিয়ে বিশ্বজিত দাস কি বিজেপিতেই থেকে যাবেন? নাকি চমক অপেক্ষা করছে?
Comments are closed.