ছাত্রছাত্রীদের চুলের দৈর্ঘ্য, স্টাইল, জল পান করার নিয়ম সংক্রান্ত বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি করে জাপানের ফুকুওকা শহরের স্কুলগুলি৷ এমনকি স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় ছাত্রছাত্রীরা কোনও কেনাকাটা করতে পারবে না৷ আবার নিয়ম অনুযায়ী, ভুরুতেও আদব কায়দা করতে পারবে না৷ এবার নাকি সেই তালিকায় আসতে চলেছে ছাত্রছাত্রীদের অন্তর্বাসের রংও৷ এতোদিন পর্যন্ত এইসব অদ্ভুত নিয়ম মেনে নিলেও অন্তর্বাসের রং ঠিক করে দেওয়ার ব্যাপারটা প্রকাশ্যে আসতেই অনেকে অবাক হয়েছেন। তাদের যেন কিছুতেই বিষয়টা আর হজম হচ্ছে না।
স্কুলের ছাত্র বা ছাত্রীদের শাসনে রাখতে সব নিয়ম মেনে নেওয়া যায় কিন্তু তাই বলে এই নয়া নিয়ম অনেকটাই বাড়াবাড়ি বলে মনে হয়েছে অনেকেরই। অন্যদিকে এই নিয়ম লঙ্ঘন করার জো নেই কারো। একে স্কুলের বিষয় অন্যদিকে নিয়ম বলে কথা, মানতে তো হবেই। সম্প্রতি ফুকুওয়াকা শহরের বার অ্যাসোসিয়েশনের করা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই শহরের অধিকাংশ মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলই পড়ুয়াদের অন্তর্বাসের রং নির্ধারণ করে দেয়৷
স্কুলগুলি ইউনিফর্ম থেকে ব্যাগ এবং জিম ক্লাসের জন্য জুতো সবটাই নিজেরা ঠিক করে দেয়। সূত্রের খবর পড়ুয়ারা এই নিয়ম ভাঙলে তার যে শাস্তি দেওয়া হয়, তা অনেক ক্ষেত্রেই মানবাধিকার ভঙ্গের সামিল৷ এমনকি নিয়ম না মেনে যদি কেউ অন্য রংয়ের অন্তর্বাস ব্যবহার করেন তো সেক্ষেত্রে অভিযুক্ত ছাত্রছাত্রীকে তা খুলে ফেলতে বাধ্য করা হয়৷ কিন্তু এই নিয়ম নিয়ে অনেকেরই আপত্তি থাকার কারণে স্কুলগুলির বর্তমান নিয়মে পরিবর্তন আনার জন্য আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে একটি আলোচনা সভা ডাকার কথাও চলছে।
Comments are closed.