বিজেপি যুব মোর্চার ডাকে পুরসভা অভিযান শেষ হল। বিপুল পুলিশই প্রহরায় বিজেপির কোনও মিছিলই পুর ভবনের ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি। গ্রেফতার করা হয়েছে অন্তত ৫০ জন বিজেপি কর্মী সমর্থককে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক মহিলা বিজেপি কর্মী। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যপার হল, যুব মোর্চার দায়িত্বে রয়েছেন যে সৌমিত্র খাঁ, এদিন অভিযানে তাঁর দেখা মেলেনি। বিজেপির অভিযানে হাজির ছিলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
বিজেপির পুরসভা অভিযান রুখতে তৈরি ছিল পুলিশ। রাস্তা ছিল কার্যত পুলিশের দখলে। দুপুর ১ টা নাগাদ মিছিল শুরু করে বিজেপি। একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর সঙ্গেই মিছিলের সামনে ছিলেন সায়ন্তন বসু, রাহুল সিনহা, অগ্নিমিত্রা পাল, জয়প্রকাশ মজুমদার, সুভাষ সরকাররা।
গোলমালের আশঙ্কায় পুলিশ আগে থেকে কলেজ স্ট্রিট থেকে ওয়েলিংটনের দিকে যাওয়ার রাস্তায় ব্যারিকেড করে দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। ফলে বিজেপির মিছিল গণেশ চন্দ্র অ্যাভেনিউ দিয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে এসে পড়ে। সেই এলাকা ছিল পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ।
সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের উপর পুলিশের তৈরি করা ব্যারিকেড ভাঙ্গার চেষ্টা করতেই রুখে দেয় পুলিশ। সেই সময় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। কিন্তু বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের চেয়ে পুলিশের উপস্থিতি ছিল অনেকটাই বেশি। দ্রুত মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। আটক করা হয় বিজেপি নেতা কর্মীদের। সেখানেই কার্যত শেষ হয়ে যায় বিজেপির পরসভা অভিযান। নেতারা ফিরে যান মুরলী ধর সেন লেনের পার্টি অফিসে। আধঘণ্টার মধ্যে ট্রাফিক স্বাভাবিক করে দেয় পুলিশ।
এটাই কি গণতন্ত্র ??????#KolkataCorporationObhijan pic.twitter.com/HRQwvV5FMe
— BJYM West Bengal (@BJYMinWB) July 5, 2021
তবে এদিন উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে তাদের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যা মোতায়েন ছিল পুলিশ। এদিন মিছিলের মাথায় বিজেপির রাজ্য নেতাদের প্রায় সবাইকে দেখা গেলেও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ছিলেন না যুব মোর্চার দায়িত্বপ্রাপ্ত সৌমিত্র খাঁ। ছিলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, ফেক টিকা দিতে অনুমতি লাগে না। সিবিআই অফিস ঘেরাও করতেও অনুমতি লাগে না। কিন্তু বিজেপি রাস্তায় নামলেই মহামারি আইন প্রয়োগ করা হয়।
Comments are closed.