বন্দুক উঁচিয়ে শাসানি দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীদের, নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট তলবের পর ভোট স্থগিতের দাবি বিজেপির
সোমবার শেষদিনে ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচার ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরী হয়। দিলীপ ঘোষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এই অবস্থায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীরা বন্দুক উঁচিয়ে শাসানি দেয়। দিলীপ ঘোষকে বলতে শোনা যায়, গলায় পা তুলে দেব। এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।
অন্যদিকে ভবানীপুর উপনির্বাচন স্থগিতের দাবি করেছে বিজেপি। দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে কোনও লাভ নেই। তাই ভোট স্থগিতের দাবি জানাচ্ছি। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার সকালে। এদিন ৮ টি ওয়ার্ডে ৮০ জন বিজেপি নেতার প্রচার করার কথা ছিল। সেইমত সকালে প্রচারে যান বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। তাঁকে ঘিরে ধরে বহিরাগত ও গো ব্যাক স্লোগান দেওয়ায় এলাকা ছাড়েন তিনি। এরপর প্রচারে যান বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। কিছুক্ষণ পর বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষও প্রচারে যান। তাঁকেও বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তখনই তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের বন্দুক উঁচিয়ে শাসানি দিতে দেখা যায়। এরপরেই ভোট স্থগিতের দাবি তোলে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বারবার দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, বিজেপির টার্গেট ভোট বানচাল করার। তাই ঝামেলা করার চেস্টা করছে বিজেপি। তিনি দলীয় কর্মীদের শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন বারবার। কিন্তু ভোট প্রচারের শেষদিনে দেখা গেল সেই ছবি। যদিও তৃণমূলের দাবি, বিজেপিকে প্রচারে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। বিজেপি সাংসদ সৌগত রায় বলেন, দিলীপ ঘোষকে প্রচার সেরে হাসি মুখে বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে। আর বলছে প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে? এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর।
Comments are closed.