শীতলকুচিতে আহত জওয়ানের ভুয়ো ছবি শেয়ার শুভেন্দু-অর্জুন সিংহের!
ভুয়ো ছবি শেয়ার করে ধরা পড়লেন শুভেন্দু, অর্জুন সিংহ
শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় বঙ্গে। বিজেপি সরাসরি বাহিনীর গুলি চালনার পাশে দাঁড়িয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, আত্মরক্ষার জন্যই গুলি চালিয়েছে বাহিনী। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি বাহিনীর কেউ আহত হয়েছেন?
সোমবার সকাল সকাল আহত জওয়ানের ছবি দিতে শুরু করেন বিজেপি নেতারা। অর্জুন সিংহ থেকে সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী, প্রত্যেকের ট্যুইটেই ব্যবহার করা হয়েছে এক আহত CISF জওয়ানের ছবি।
শুভেন্দু লেখেন, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাহিনীর বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালাতে বাধ্য হন।
চতুর্থ দফার ভোটের দিন কোচবিহারের শীতলকুচি-তে @CISFHQrs সিআইএসএফ জওয়ানদের উপর হামলা চালায় @AITCofficial তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
গুরুতর জখম হন এক জওয়ান।
তাই আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। pic.twitter.com/g3HM1rwe4T
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) April 11, 2021
একই বয়ান হিন্দিতে লিখে ওই ছবি দিয়ে ট্যুইট করেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। ক্যাপশনে লেখেন, একটি ছবি হাজার শব্দের থেকেও শক্তিশালী! এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা যায়, ওই ছবি ফেক! নিজের প্রোফাইল থেকে পোস্ট ডিলিট করেন অর্জুন সিংহ।
দেখা যায়, এই ছবির জওয়ানের সঙ্গে বাংলার কোনও সম্পর্ক নেই। ১০ এপ্রিল ঝাড়খণ্ডের বাঘমারায় কর্তব্যরত অবস্থায় এএসআই এস পি শর্মার উপর আক্রমণ করে ২-৩ টি হনুমান। তাঁকে আঁচড়ে, কামড়ে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় CISF এর এএসআইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত এএসআইয়ের ছবি দিয়ে সেই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল জনপ্রিয় হিন্দি সংবাদপত্র জাগরণে।
#Shitalkuchi #NoVoteToBJP
ঝাড়খণ্ডের ল্যাঙ্গুরের দ্বারা আক্রান্ত সিআইএসএফ কর্মকর্তার ছবিকে কোচবিহারে আক্রান্ত সিআইএসএফ কর্মকর্তার ছবি বলে প্রচার করছে বিজেপি|
ধিক্কার , এই বিজেপি কে একটিও ভোট নয়। মানুষ খুনকে যারা clean chit দেয় ।
#TMCS
News link – https://t.co/ZXgKef0k6I— Trinamool Supporters (@TMC_Supporters) April 12, 2021
ভুয়ো ট্যুইট ধরা পরে যাওয়ার পরেও নিজেদের ট্যুইটার প্রোফাইল থেকে ভুয়ো ছবিই রেখে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। ব্যতিক্রম অর্জুন সিংহ। তৃণমূলের অভিযোগ, ফেক নিউজ ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে ধোঁয়াশা তৈরি করতে চায় বিজেপি। আর তাই ফেক ছবি ধরা পড়ে যাওয়ার পরেও ক্ষমা চাওয়ার মধ্যে যাননি কোনও বিজেপি নেতা। এটাই বিজেপির চরিত্র, কটাক্ষ তৃণমূলের। মুখে কুলুপ অর্জুন-শুভেন্দুর।
Comments are closed.