বিজেপির রাজ্য সভাপতির বৈঠকে থাকছেন না রাজ্যের যুব মোর্চার সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। রবিবার বিষ্ণুপুর যাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। জানা যাচ্ছে সেই বৈঠকে থাকছেন না সৌমিত্র। এখানেই শেষ নয়, বিতর্ক বাড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির জেলা সফরের আগের দিনই বাঁকুড়ার বিজেপির মিডিয়া সেলের হোয়াটস আপ গ্রুপও ছেড়েছেন তিনি।
ভোট পর্ব মিটতেই তৃণমূল ত্যাগী নেতাদের একটি অংশ বিজেপি ছেড়ে পুরোনো দলে ফিরতে চাইছেন। এই আবহে সৌমিত্র খাঁয়ের বৈঠকে উপস্থিত না থাকা ঘিরে তুমুল জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বৈঠকে উপস্থিত না থাকা নিয়ে বিজেপি সাংসদের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী সুজাতা খাঁ। তাঁর কথায়, এটা বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জের।
রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে কেউ নেতা হিসেবে মানছেন না। বিষ্ণুপুরের মানুষও ওনাকে নেতা হিসেবে চাইছেন না। তাই হয়তো সৌমিত্র ওই বৈঠকে থাকছেন না বলে দাবি সুজাতার।
বিজেপি সাংসদের দলবদল সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী সুজাতা জানান, ওঁ কী করবে তা ওঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে আমি চাই সৌমিত্র বিজেপি ছেড়ে দিন। স্বামীকে সৎ পথে সৎ বুদ্ধিতে চলারও পরামর্শ দেন সুজাতা খাঁ মন্ডল।
২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন সৌমিত্র খাঁ। বিষ্ণুপুর লোকসভা থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে সাংসদ হন তিনি। একুশের বিধানসভা ভোটেও বিজেপির এক্কেবারে সামনের সারিতে থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তিনি। তবে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরেই রাজ্য রাজনীতির সমীকরণ পাল্টাতে থাকে। আর এদিন তারাই বহিঃপ্রকাশ ঘটল সৌমিত্রের আচরণ-এর মধ্য দিয়ে, বলে মত পর্যবেক্ষকদের একাংশের। এখন দেখার, সৌমিত্র বিজেপিতেই থাকেন নাকি তিনিও সোনালী গুহদের মত তৃণমূলে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করে ঘাসফুল শিবিরের কাছে আবেদন করেন।
Comments are closed.