বাংলায় ক্ষমতায় এসেই নাগরিকত্ব কার্ড বিলি করতে শুরু করবে বিজেপি। উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগর থেকে ঘোষণা করে দিলেন হাবড়ার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা। বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠকও করেন। শান্তনু ঠাকুর দাবি করেন, মতুয়ারা বিজেপির সঙ্গেই আছেন। রাহুল-শান্তনুদের দাবি, মতুয়াদের উন্নয়ন একমাত্র করতে পারে বিজেপি।
বিজেপি নেতাদের এই দাবিকে নতুন করে টুপি পরানোর ধান্দাবাজি বলে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। মতুয়ারা বিজেপির ভাঁওতাবাজি বুঝে গেছে বলেও দাবি করেছেন ঠাকুরনগরের বড় মায়ের বড় বউ মমতাবালা ঠাকুর।
রাহুল সিনহা দাবি করেছেন, মমতা বাধা না দিলে এতদিনে রাজ্যে নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ হয়ে যেত। শুধু কার্ডটুকুই হাতে পেতে বাকি। আর বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রথম মাসেই এই কার্ড বিলি করবে। কিন্তু প্রশ্ন হল, নাগরিকত্ব আইনের বিধি প্রণয়নের কাজই এখনও করে উঠতে পারেনি কেন্দ্র। তাহলে কীভাবে কার্ড দেওয়া সম্ভব? আইনের বিধি তৈরি না হলে কোন মন্ত্রে নাগরিকত্ব দেবেন বলে প্রকাশ্যে দাবি করছেন রাহুল সিনহা? প্রশ্ন উঠছে। রাহুল সিনহাকে কটাক্ষ করেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রাহুল সিনহা নাগরিকত্ব নিয়ে ভালো করে পড়াশোনা করুন আগে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাবি, যাদের ভোটারকার্ড আছে, সবাই ভোট দিতে পারবেন। তারা সকলেই দেশের নাগরিক।
এর আগেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শেষ হলে নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগের কাজ শুরু হবে। কিন্তু প্রশ্ন হল, ১৩০ কোটির ভারতে কবে শেষ হবে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ? স্বাস্থ্য দফতরের মতে, যে গতিতে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছে, তাতে প্রক্রিয়া শেষ হতে কয়েক বছর লাগবে। তাহলে মে-জুনের মধ্যেই নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবির সত্যতা কি? উত্তর দেননি রাহুল সিনহা।
Comments are closed.