করোনার দাপটে রেকর্ড পতন হওয়া শেয়ার বাজারকে ঘুরে দাঁড় করাতে ৪৫ মিনিট ধরে শেয়ার কেনাবেচা বন্ধ রাখা হয় শুক্রবার। সারাদিনে তার কিছুটা সুফল মিলল। দিনের শেষে ১,৩২৫ পয়েন্ট উঠে সেনসেক্স দাঁড়াল ৩৪,১০৩ পয়েন্টে এবং নিফটি ৪৩৩ পয়েন্ট উঠে ১০,২২৩ পয়েন্টে পৌঁছয়। এসবিআই, এইচডিএফসি সবচেয়ে বড় লাভ পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার যে ধস নেমেছিল, শুক্রবারের পরিস্থিতি তার থেকে কিছুটা উন্নতি হয়। সেনসেক্স ও নিফটি- দুই সূচকের রেকর্ড পতনের পর বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) এবং ন্যাশনাল নিফটি ৪৫ মিনিটের জন্য বন্ধ রাখে শেয়ার কেনাবেচা। ১২ বছর পর এই প্রথম বিএসই ও এনএসই শেয়ার কেনাবেচা বন্ধ রাখল। এই ‘সার্কিট ব্রেক’-এ কতটা সুবিধা হল?
এদিন সকালে সেনসেক্স ১৫০০ পয়েন্ট থেকে কয়েক মিনিটের মধ্যে ৩,০০০ পয়েন্ট নীচে নেমে যায়। নিফটি খোলে প্রায় ৫০০ পয়েন্টের নীচে। এরপর শেয়ার কেনাবেচা বন্ধ করে দেওয়ায় প্রথমার্ধে সেনসেক্সের পতন রোখা গিয়েছিল। বৃহস্পতিবারের তুলনায় কিছুটা চাঙ্গা হয় শেয়ার মার্কেট। দিনের শেষে কিছুটা ভালো জায়গায় পৌঁছয় সেনসেক্স ও নিফটির সূচক।
কী এই সার্কিট ব্রেক, লোয়ার ও আপার সার্কিট কী?
লোয়ার ও আপার সার্কিট হল স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি, যেখানে শেয়ার বাজারের ব্যাপক পতন ও অভূতপূর্ব উত্থান বন্ধ করে দেওয়া হয় সাময়িক ভাবে। বাজারের স্থিতাবস্থার জন্য এই সার্কিট ব্রেকার ব্যবহৃত হয়। সূচক ভিত্তিতে মোট তিন পর্যায়ে সার্কিট ব্রেকার প্রয়োগ হয়- ১০ শতাংশ, ১৫ শতাংশ এবং ২০ শতাংশে। ১৫ মিনিট থেকে পুরো একদিন পর্যন্ত শেয়ার কেনাবেচা বন্ধ রাখা যেতে পারে সার্কিট ব্রেকার ব্যবহারের মাধ্যমে।
এর আগে ২০০৪, ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে বন্ধ রাখা হয়েছিল শেয়ার কেনাবেচা। তবে এবার যেমন শেয়ার মার্কেটের ব্যাপক পতনের জন্য ৪৫ মিনিট শেয়ার কেনাবেচা বন্ধ করে দেওয়া হয়, ২০০৯ সালে তার কারণটা ছিল ঠিক উল্টো। সেই সময় ব্যাপক হারে বাজার উপরে উঠে গিয়েছিল।
Comments are closed.