বম্বে হাইকোর্টের কড়া সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হল মহারাষ্ট্র সরকারকে। মঙ্গলবার মহারাষ্ট্র সরকারের সমালোচনা করে হাইকোর্ট বলে, সরকারের কাছে মূর্তি গড়ার টাকা আছে। কিন্তু জনস্বাস্থ্যের জন্য খরচ করার টাকা নেই।
মহারাষ্ট্র সরকার রাজ্যে বাবা সাহেব আম্বেদকরের বিশাল মূর্তি গড়তে চাইছে। তা নাকি গুজরাতে বল্লভ ভাই প্যাটেলের মূর্তির থেকেও উঁচু হবে।
অন্যদিকে, সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে শিশু ও মহিলাদের চিকিৎসার জন্য গড়ে ওঠা বাই জাবেরি ওয়াদিয়া হাসপাতালের জন্য সরকারি সাহায্যে কাটছাঁট করা হচ্ছে। সরকারের এই আর্থিক সাহায্য কমানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে একটি মামলা দায়ের হয়েছে বম্বে হাইকোর্টে। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি এস সি ধর্মাধিকারী ও বিচারপতি আর আই চাগলার ডিভিশন বেঞ্চে।
এই আবেদনের শুনানিতেই বিচারপতিরা বলেন, সরকার আম্বেদকরের সুউচ্চ মূর্তি নির্মাণ করতে চায়। কিন্তু আম্বেদকর সারা জীবন যাদের জন্য ভেবে এসেছেন, তারা কেন অর্থের অভাবে চিকিৎসা না পেয়ে মরবে? কোনটা বেশি প্রয়োজন, চিকিৎসা ব্যবস্থা নাকি মূর্তি? প্রশ্ন তুলেছে আদালত। হাইকোর্ট বলেছে, মুম্বইয়ের মতো দেশের অর্থনৈতিক রাজধানীতে যেভাবে অর্থের অভাবের জন্য মহিলা ও শিশুদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে, তা উদ্বেগজনক।
আদালতের প্রশ্ন, অর্থের অভাবে কেন সরকারি হাসপাতালে রোগীরা কষ্ট পাবে? যাদের বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার ক্ষমতা নেই তাদের কী হবে? আদালতের আরও প্রশ্ন, সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় জনস্বাস্থ্য নেই কেন? কেন মুখ্যমন্ত্রী সেতু উদ্বোধন নিয়ে এত ব্যস্ত? আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে অবশ্য মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, ওয়াদিয়া হাসপাতালের জন্য ২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা তিন সপ্তাহের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হবে। বিএমসি-ও জানিয়েছে, ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আদালত বলেছে, শুক্রবারের মধ্যে এই টাকা দিয়ে দিতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানিও ওইদিন।
মহারাষ্ট্র সরকার রাজ্যে বাবা সাহেব আম্বেদকরের বিশাল মূর্তি গড়তে চাইছে। তা নাকি গুজরাতে বল্লভ ভাই প্যাটেলের মূর্তির থেকেও উঁচু হবে।
অন্যদিকে, সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে শিশু ও মহিলাদের চিকিৎসার জন্য গড়ে ওঠা বাই জাবেরি ওয়াদিয়া হাসপাতালের জন্য সরকারি সাহায্যে কাটছাঁট করা হচ্ছে। সরকারের এই আর্থিক সাহায্য কমানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে একটি মামলা দায়ের হয়েছে বম্বে হাইকোর্টে। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি এস সি ধর্মাধিকারী ও বিচারপতি আর আই চাগলার ডিভিশন বেঞ্চে।
এই আবেদনের শুনানিতেই বিচারপতিরা বলেন, সরকার আম্বেদকরের সুউচ্চ মূর্তি নির্মাণ করতে চায়। কিন্তু আম্বেদকর সারা জীবন যাদের জন্য ভেবে এসেছেন, তারা কেন অর্থের অভাবে চিকিৎসা না পেয়ে মরবে? কোনটা বেশি প্রয়োজন, চিকিৎসা ব্যবস্থা নাকি মূর্তি? প্রশ্ন তুলেছে আদালত। হাইকোর্ট বলেছে, মুম্বইয়ের মতো দেশের অর্থনৈতিক রাজধানীতে যেভাবে অর্থের অভাবের জন্য মহিলা ও শিশুদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে, তা উদ্বেগজনক।
আদালতের প্রশ্ন, অর্থের অভাবে কেন সরকারি হাসপাতালে রোগীরা কষ্ট পাবে? যাদের বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার ক্ষমতা নেই তাদের কী হবে? আদালতের আরও প্রশ্ন, সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় জনস্বাস্থ্য নেই কেন? কেন মুখ্যমন্ত্রী সেতু উদ্বোধন নিয়ে এত ব্যস্ত? আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে অবশ্য মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, ওয়াদিয়া হাসপাতালের জন্য ২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা তিন সপ্তাহের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হবে। বিএমসি-ও জানিয়েছে, ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আদালত বলেছে, শুক্রবারের মধ্যে এই টাকা দিয়ে দিতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানিও ওইদিন।
Comments are closed.