শেষ মুহূর্তে পেয়েছেন আমন্ত্রণপত্র। কিন্তু সেই আমন্ত্রণপত্র নিয়ে অমিত শাহের সভায় ঢুকতে বেগ পেতে হল বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিত দাসকে। শেষ পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীর হস্তক্ষেপে সভায় ঢুকতে পারেন বিধানসভায় মমতাকে প্রণাম করা বিশ্বজিত।
ঠাকুরনগরে অমিত শাহ সভা করতে আসবেন। স্বাভাবিক ভাবেই তাতে আমন্ত্রণ পাওয়ার কথা অধুনা বিজেপিতে যোগ দেওয়া বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিত দাসের। কিন্তু বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা ঠাকুর বাড়ির সদস্য শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শীতল। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, শান্তনুর সঙ্গে সমস্যার জেরেই বিজেপিতে ঠিক সুবিধে করতে পারছিলেন না বিশ্বজিত। তাই আবার তৃণমূলে ফিরতে পারেন, এই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করে সেই জল্পনায় অক্সিজেন যুগিয়েছিলেন বিধায়ক নিজেই। এই পরিস্থিতিতে বনগাঁর ঠাকুরনগরে সভা করতে আসেন অমিত শাহ। জানা যাচ্ছে, সেই সভায় প্রথমে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি বিশ্বজিত দাসকে। শেষ বেলায় আমন্ত্রণ পেলেও সভায় ঢোকার পথেই আটকে যান তিনি। প্রায় আধঘণ্টা বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক। শেষ পর্যন্ত বিশ্বজিত ফোন করেন শুভেন্দুকে। শুভেন্দু তড়িঘড়ি শান্তনুর সঙ্গে কথা বলে বিশ্বজিতকে ঢোকানোর ব্যবস্থা করেন।
প্রশ্ন উঠছে, বিশ্বজিতকে ঢুকতে দিতে আপত্তি কেন? রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এর নেপথ্যে রয়েছে বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিন মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে তাঁর সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং দিদিকে প্রণাম।
Comments are closed.