TRP জালিয়াতির তদন্তে সিবিআই, লখনউতে বিজ্ঞাপনদাতার অভিযোগের তদন্তভার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিল যোগী সরকার
মুম্বই, কলকাতার পর এবার লখনউ। TRP জালিয়াতির অভিযোগ ক্রমেই দেশজুড়ে মাথাচাড়া দিচ্ছে। এবার তাতে জড়িয়ে পড়ল সিবিআই। মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশ পুলিশের রেফারেন্সের ভিত্তিতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই।
সম্প্রতি এক বিজ্ঞাপন সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে লখনউয়ের হজরতগঞ্জ থানায় TRP জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, সেই মামলাটিই সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিল যোগী সরকার।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সরকারি কর্তাদের উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, এক্ষেত্রে প্রাথমিক অভিযোগ, টাকা নিয়ে কৃত্রিমভাবে কয়েকটি চ্যানেলের TRP বাড়িয়ে দেওয়ার। TRP বা টেলিভিশন রেটিং পয়েন্টসের অর্থ হল, কোনও চ্যানেল বা চ্যানেলে সম্প্রচারিত কোনও অনুষ্ঠান কোন বয়সের, কোনও আর্থসামাজিক পরিস্থিতির মানুষ কতক্ষণ ধরে দেখছেন, তা নির্ধারণ করা। এই রেটিংয়ের উপরই নির্ভর করে বিজ্ঞাপনদাতারা কত টাকা খরচ করবেন। টিআরপিতে মূলত ঘণ্টা, দিন কিংবা সপ্তাহের হিসেব দেওয়া থাকে।
সাধারণত প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার নিয়ামক সংস্থা ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল বা BARC চ্যানেলগুলোকে টিআরপি সংক্রান্ত হিসেব পাঠিয়ে থাকে। এই হিসেব করা হয় গোটা দেশে বসানো ৪৫ হাজার পিপল মিটার বা বার-ও-মিটার থেকে।
সম্প্রতি মুম্বই পুলিশ দাবি করে, অর্ণব গোস্বামীর রিপাবলিক টিভি সহ ৩ টি চ্যানেল বার-ও-মিটারে কারচুপির মাধ্যমে TRP নির্ণয়ে জালিয়াতি করেছে। জালিয়াতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ ইতিমধ্যেই ৬ জনকে গ্রেফতারও করেছে মুম্বই পুলিশ। তাঁদের দাবি, যে বাড়িতে বার-ও-মিটার বসানো সেই বাড়ির রিমোট কন্ট্রোল যদি কোনও চ্যানেলের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তাহলে টিআরপির সঠিক প্রতিফলন না আসার সম্ভাবনা ষোলো আনা। মুম্বই পুলিশের অভিযোগ, বার-ও-মিটার বসানো বাড়িতে টিভির রিমোট কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে TRP বাড়িয়ে নেওয়ার জাল গোটা দেশেই ছড়ানো রয়েছে।
একইভাবে বাংলার এবিপি আনন্দও টিআরপি কারচুপির অভিযোগ করে BARC কে চিঠি পাঠিয়েছে। উল্টোদিকে বাংলার আর এক নিউজ চ্যানেল কলকাতা টিভিও এবিপি আনন্দের বিরুদ্ধে কারচুপি করার অভিযোগ এনে BARC কে চিঠি দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবার লখনউয়ে দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে TRP জালিয়াতির অভিযোগের তদন্তে নামল সিবিআই।
Comments are closed.