কোন খাদ্যশস্য খান? স্মার্ট ফোন আছে? মোবাইল নম্বর কী? প্রাক জনগণনায় কেন্দ্র জানতে চায় এই তথ্যও! প্রকাশিত নয়া বিজ্ঞপ্তি
ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রার বা এনপিআর নিয়ে বাংলা ও কেরল তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যে বন্ধ এই প্রক্রিয়া। আগুন জ্বলছে দেশজুড়ে। এই প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করল আরেকটি প্রাক জনগণনা প্রক্রিয়ার (Census 2021)। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, সেখানে জানতে চাওয়া হবে পারিবারিক খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ, যাতে রয়েছে আপনি কোন খাদ্যশস্য খান, সেই তথ্যও।
২০২১ সালের জনগণনার (Census 2021) জন্য আরও কয়েকটি নতুন তথ্য জানতে চাওয়া হবে। এই প্রথমবার জানতে চাওয়া হবে, আপনি স্মার্টফোন ব্যবহার করেন কিনা, পাইপ গ্যাসের কানেকশন আছে কিনা এবং আপনার মোবাইল ফোনের নম্বর। তবে সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে সাফ জানানো হয়েছে, মোবাইল নম্বর জানতে চাওয়া হবে কেবলমাত্র জনগণনা সংক্রান্ত কাজের জন্যই। অর্থাৎ, সেই তথ্য অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা হবে না।
অন্যান্যবারের সঙ্গে আসন্ন জনগণনা প্রক্রিয়ার আরও একটি বৈশিষ্টগত পার্থক্য রয়েছে। এবার কোনও বাড়িতে ব্যাঙ্কিং সার্ভিস বা ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট আছে কিনা, তা জানতে চাওয়া হচ্ছে না। এবার সেই পংক্তিটিই অনুপস্থিত।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২০২১ সালের জনগণনা (Census 2021) এবং এনপিআর আপডেট করার প্রক্রিয়ায় সিলমোহর দেওয়ার ২ সপ্তাহের মধ্যে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এনপিআর আপডেটের সিদ্ধান্ত নিয়ে গোটা দেশে উত্তাপ ছড়িয়েছে। নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদের পাশাপাশি জনমানসে এই ধারণা তৈরি হয়েছে, এনপিআর করে আসলে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) কাজ করতে চায় কেন্দ্র।
এ বছর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর অবধি জনগণনার কাজে বাড়ি বাড়ি তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া এবং এনপিআর আপডেট করার কাজ সমান্তরালভাবে চলবে। মূল জনগণনা প্রক্রিয়া হবে ২০২১ সালের ৯ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি।
বৃহস্পতিবারের বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রেজিস্ট্রার জেনারেল। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ৩১ টি বিষয়ে তথ্য জানতে চাওয়া হবে। গত জনগণনায় যা ছিল ৩০ টি এবং সেখানে আপনি কোন খাদ্যশস্য গ্রহণ করেন তা জানতে চাওয়া হয়নি।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রস্তাব অনুযায়ী, এনপিআর প্রক্রিয়ায় ২১ টি পয়েন্টে ডেমোগ্রাফিক বা জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত। সেই পয়েন্টগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, মা-বাবার জন্মের তারিখ এবং জন্মের স্থান, শেষ বাসস্থান, প্যান, আধার (স্বেচ্ছাধীন বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত, অর্থাৎ কেউ চাইলে এই তথ্য নাও দিতে পারেন), ভোটার আই কার্ডের নম্বর, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর এবং মোবাইল নম্বর।
২০১০ সালে শেষ এনপিআরে তথ্য চাওয়া হয়েছিল ১৫ টি পয়েন্টের উপর। তাতে মা-বাবার জন্মের তারিখ ও জন্মস্থান এবং শেষ বাসস্থান সংক্রান্ত কোনও তথ্য জানতে চাওয়া হয়নি। এবার সেই তথ্যও জানতে চাইছে কেন্দ্র।
২০২১ সালের জনগণনার (Census 2021) জন্য আরও কয়েকটি নতুন তথ্য জানতে চাওয়া হবে। এই প্রথমবার জানতে চাওয়া হবে, আপনি স্মার্টফোন ব্যবহার করেন কিনা, পাইপ গ্যাসের কানেকশন আছে কিনা এবং আপনার মোবাইল ফোনের নম্বর। তবে সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে সাফ জানানো হয়েছে, মোবাইল নম্বর জানতে চাওয়া হবে কেবলমাত্র জনগণনা সংক্রান্ত কাজের জন্যই। অর্থাৎ, সেই তথ্য অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা হবে না।
অন্যান্যবারের সঙ্গে আসন্ন জনগণনা প্রক্রিয়ার আরও একটি বৈশিষ্টগত পার্থক্য রয়েছে। এবার কোনও বাড়িতে ব্যাঙ্কিং সার্ভিস বা ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট আছে কিনা, তা জানতে চাওয়া হচ্ছে না। এবার সেই পংক্তিটিই অনুপস্থিত।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২০২১ সালের জনগণনা (Census 2021) এবং এনপিআর আপডেট করার প্রক্রিয়ায় সিলমোহর দেওয়ার ২ সপ্তাহের মধ্যে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এনপিআর আপডেটের সিদ্ধান্ত নিয়ে গোটা দেশে উত্তাপ ছড়িয়েছে। নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদের পাশাপাশি জনমানসে এই ধারণা তৈরি হয়েছে, এনপিআর করে আসলে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) কাজ করতে চায় কেন্দ্র।
এ বছর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর অবধি জনগণনার কাজে বাড়ি বাড়ি তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া এবং এনপিআর আপডেট করার কাজ সমান্তরালভাবে চলবে। মূল জনগণনা প্রক্রিয়া হবে ২০২১ সালের ৯ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি।
বৃহস্পতিবারের বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রেজিস্ট্রার জেনারেল। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ৩১ টি বিষয়ে তথ্য জানতে চাওয়া হবে। গত জনগণনায় যা ছিল ৩০ টি এবং সেখানে আপনি কোন খাদ্যশস্য গ্রহণ করেন তা জানতে চাওয়া হয়নি।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রস্তাব অনুযায়ী, এনপিআর প্রক্রিয়ায় ২১ টি পয়েন্টে ডেমোগ্রাফিক বা জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত। সেই পয়েন্টগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, মা-বাবার জন্মের তারিখ এবং জন্মের স্থান, শেষ বাসস্থান, প্যান, আধার (স্বেচ্ছাধীন বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত, অর্থাৎ কেউ চাইলে এই তথ্য নাও দিতে পারেন), ভোটার আই কার্ডের নম্বর, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর এবং মোবাইল নম্বর।
২০১০ সালে শেষ এনপিআরে তথ্য চাওয়া হয়েছিল ১৫ টি পয়েন্টের উপর। তাতে মা-বাবার জন্মের তারিখ ও জন্মস্থান এবং শেষ বাসস্থান সংক্রান্ত কোনও তথ্য জানতে চাওয়া হয়নি। এবার সেই তথ্যও জানতে চাইছে কেন্দ্র।
Comments are closed.